পাতা:হিন্দু আইন -বিভূতিভূষণ মিত্র.pdf/৫১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

নাবালক ও অভিভাবক 30 বালক তাহার হিন্দু আত্মীয়গণের নিকট স্বখে স্বচ্ছন্দে আছে এবং তাহার বিধৰ্ম্মী পিতার নিকট ফিরিয়া যাইতে অসম্মত, তাহা হইলে পিতা আর তাহার পুত্রকে নিজের কাছে লইয়া যাইতে পারিবেন না ( মুকুন্দ বঃ নবদ্বীপ, ২৫ কলিকাতা ৮৮১ ) । নাবালক পুত্র ধৰ্ম্মাস্তর গ্রহণ করিয়া চলিয়া গেলেও পিতা আদালত অবলম্বন করিয়া তাহাকে পাইতে পারেন। কিন্তু সাবালক পুত্ৰ চলিয়। গেলে পিতা কিছুই করিতে পারে না। নাবালকের সম্পত্তি রক্ষার জন্য এবং তাহার উপকারের নিমিত্ত অভিভাবক সকল কাৰ্য্যই করিতে পারেন। তিনি আইনসঙ্গত প্রয়োজন থাকিলে কোনও সম্পত্তি হস্তান্তর করিতে, বা ঋণ করিতে বা ঋণ স্বীকার করিতে পারেন ; এবং নাবালক ত দ্বারা বাধ্য থাকিবেন । নাবালকের ভরণপোষণ, বিদ্যাশিক্ষা, চিকিৎসাব্যয়, তাহার মাতা পিতামহী ও ভগ্নীগণের ভরণপোষণ, তাহার অবিবাহিত ভগ্নীগণেব বিবাহ, বি গ্রহ সেব—এইগুলি আইনসঙ্গত প্রয়োজনের দৃষ্টান্ত । এই প্রয়োজনগুলি থাকিলে অভিভাবক সম্পত্তি বিক্রয় করিতে বা বন্ধক দিতে পারেন । কিন্তু এস্থলে খরিদদারের বা বন্ধকগ্রহীতারও একটা কৰ্ত্তব্য আছে । অভিভাবক যখন কোনও আইনসঙ্গত প্রয়োজন হেতু কোন ও সম্পত্তি বিক্রয় করিতে বা বন্ধক দিতে উদ্যত হন, তখন খরিদদার বা বন্ধকগ্রহীতা তদন্ত করিয়া দেখিবেন যে বাস্তবিকই ঐ প্রয়োজন আছে কি না। যদি তিনি তদন্ত করিয়া না দেখেন তাহা হইলে ভবিষ্যতে নাবালক সাবালক হইয়া ঐ হস্তান্তর অসিদ্ধ করিয়া দিতে পারিবেন । ষদি তিনি তদন্ত করিয়া দেখেন যে বাস্তবিকই আইনসঙ্গত প্রয়োজন আছে, এবং তজ্জন্যই অভিভাবক ,সম্পত্তি হস্তান্তর করিতেছেন, তাহা হইলে আর র্তাহার কোনও দায়িত্ব থাকে না। এমন কি, যদি অভিভাবক ঐ সম্পত্তি বিক্রয় করিয়া বিক্রয়লব্ধ অর্থ উক্ত প্রয়োজনে ব্যয় না করেন,তাহা হইলেও