পাতা:হিন্দু আইন -বিভূতিভূষণ মিত্র.pdf/৬৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

es हिन्नू आहेन পরে চন্দ্র নামক পুত্রটা ঈশান ও ফণী নামক দুই পুত্রকে রাখিয়া পরলোকগমন করিলেন। তখন ঈশান ও ফণী তাহাদের কাকা ও জ্যেঠার নিকট হইতে সম্পত্তি পৃথক করিয়া বিভাগ করিয়া লইলেন। এস্থলে সিদ্ধেশ্বরী, বলরাম বা দয়ালের সমান এক অংশ পাইবেন, ঈশান বা ফণীর সমান অংশ পাইবেন না। সিদ্ধেশ্বরীর তিন পুত্রের মধ্যে যেন সম্পত্তি বিভাগ হইতেছে এইরূপ ভাবে তিনি অংশ পাইবেন । অর্থাৎ ঐ সম্পত্তি চারি ভাগে বিভক্ত হইয়া সিদ্ধেশ্বরী, বলরাম ও দয়াল প্রত্যেকে চারি আন অংশ, এবং ঈশান ও ফণী প্রত্যেকে দুই আনা অংশ পাইবেন। যদি বিভাগের সময়ে পিতামহী, পৌত্রগণ ও পৌত্ৰগণের মাত থাকে তাহা হইলে সকলের অংশ নিম্নলিখিতরূপে স্থির করিতে হইবে :– আনন্দ (༣་༢) = সিদ্ধেশ্বরী বলরাম (བྷ་ནཱ། = রাজলক্ষ্মী চন্দ্রনাথ দয়াল এই উদাহরণে আনন্দের জীবিতকালেই বলরামের মৃত্যু হইয়াছিল। এস্থলে চন্দ্রনাথ ও দয়ালের মধ্যে বিভাগের সময়ে সিদ্ধেশ্বরী তাহাদের এক অংশ পাইবেন, অর্থাৎ সম্পত্তি প্রথমে তিন অংশে বিভক্ত হইয়া সিদ্ধেশ্বরী একতৃতীয়াংশ পাইবেন । তাহার পর বাকী ঔ অংশ তিন ভাগে বিভক্ত হইয়া রাজলক্ষ্মী, চন্দ্রনাথ ও দয়াল প্রত্যেকে তাহার একতৃতীয়াংশ পাইবেন ; অর্থাৎ এই তিন জন প্রত্যেকে সম্পত্তির ৪ অংশ পাইবেন। (পূৰ্ণচন্দ্র বা সরোজিনী, ৩১ কলিকাতা ১৯৬৫ ) * পৌত্রগণ এজমালীতে থাকিলে পিতামহী সম্পত্তি বিভাগের দাবী করিতে পারেন না । { o