পাতা:হিন্দু আইন -বিভূতিভূষণ মিত্র.pdf/৭৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দান কিছুই পাইবে না (ভগবতী বঃ কালীচরণ, ৩৮ কলিকাতা ৪৬৮ প্রিভি কৌন্সিল) । দানের সঙ্গে যদি কোনও সৰ্ব থাকে তাহা হইলেও नानं সিদ্ধ হইবে । দাতা যদি এই সৰ্ত্তে দান করেন যে গ্রহীতা দাতার গৃহদেবতার পূজার ব্যয় নিৰ্ব্বাহ করিবেন, কিংবা দানের সম্পত্তি হইতে দাতাকে ভরণপোষণ দিবেন, তাহা হইলেও দান সিদ্ধ হইবে, এবং গ্রহীত। ঐ সকল সওঁ পালন করিতে বাধ্য হইবেন। কোনও সম্পত্তি একবার দান করিলে আর তাহা প্রত্যাহার করা যায় না, এমন কি যদি দানপত্র রেজেষ্টারী না হইয়াও থাকে, তাহা হইলেও দানের সম্পত্তি ফিরাইয়া লওয়া চলেনা। তবে যদি দাতা প্রমাণ করিতে পারেন যে দানপাত্র তাহাকে প্রবঞ্চনা করিয়া, বা অবৈধ ক্ষমতা পরিচালনা পূর্বক বা মিথ্য উক্তি দ্বারা বা ভয় দেখাইয়া বা বলপূৰ্ব্বক দানপত্র সম্পাদন করাইয়া লইয়াছে, তাহা হইলে দাতা ঐ দান প্রত্যাহার করিতে পারেন । দাতা ও গ্রহীতা দানের সময়ে এইরূপ চুক্তি কবিতে পারেন যে, যে ঘটনার উপর দাতার কোনও হাত নাই সেরূপ ঘটনা ঘটিলে তিনি ঐ দান প্রত্যাহার করিতে পারবেন। এইরূপ চুক্তি সিদ্ধ হবে এবং উক্তরূপ ঘটনা ঘটিলে দাতা দানের সম্পত্তি ফিরাইয়া লইতে পারিবেন । যথা, দাতা যদি দানপত্রে এইরূপ লেখেন—“আমি এই সম্পত্তি তোমাকে দান করিলাম, কিন্তু আমার ঘাদ ভ্রাতুষ্পপুত্র জন্মায় তাহা হইলে আমি এই সম্পত্তি তোমার নিকট হইতে ফিরাইয়া লইতে পারিব।” এইরূপ চুক্তি সিদ্ধ হইবে, কারণ দাতার ভ্রাতুপুত্রের জন্ম সম্বন্ধে দাতার কোনও হাত নাই ; এস্থলে দাতার ভ্রাতুষ্পুত্র জন্মিলে তিনি দানের সম্পত্তি ফিরাইয়া লইতে পারিবেন । কিন্তু যদি দাতা দানপত্রে এইরূপ লেখেন— “আমি এই সম্পত্তি দান করিলাম, কিন্তু আমি যদি পোষ্যপুত্র গ্রহণ করি, তাহা হইলে আমি এই সম্পত্তি ফিরাইয়া লইব” ভাহা হইলে এই চুক্তি