পাতা:হিন্দু আইন -বিভূতিভূষণ মিত্র.pdf/৮১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

=উ অথ্যাঙ্ক । ऐंठझेळ । হিন্দু আইনে উইলের ন্যায় কোনও ব্যবস্থ দেখিতে পাওয়া যায় না। সম্ভবতঃ মৃত্যুর পর সম্পত্তির কি হইবে তাহ কেহ ভাবিতেন না, এবং সেজন্য কেহ উইলও করিতেন না। যাহাদের পুত্র থাকিত তাহাদের কিছু ভাবিবার প্রয়োজন হইত না, যাহাদের পুত্ৰ ন হইত তাহার দত্তকগ্রহণ করিয়া সম্পত্তির ব্যবস্থা করিয়া যাইতেন। যাহার! আত্মীয় স্বজনকে কিছু দিয়া যাইতে ইচ্ছা করিতেন, তাহার। জীবিত থাকিতে দান করিতেন, অথবা মৃত্যুশয্যায় দান করিয়া যাইতেন । ইংরাজগণের আগমনের পর এই দেশে উইল প্রচলিত হয়, এবং র্তাহাদের নিকট হইতেই এদেশীয় লোক উইল করিতে শিক্ষা করে । কলিকাতা প্রভৃতি বড় বড় স্থানের ধনী ব্যক্তিগণ সম্পত্তি সম্বন্ধে কোনও ব্যবস্থা করিতে হইলে ইংরাজ আইনজ্ঞগণের পরামর্শ লইতেন এবং তাহাদের নিকট হইতে উইলের কথা শুনিয়া সেই ব্যবস্থা গ্রহণ করিতেন। এইরূপে সহরের মধ্যে উইল খুব প্রচলিত হইল, এবং পরে মহরের লোকের দেখাদেখি মফঃস্বলের লোকেরাও উইল করিতে শিখিল । ১৭৫৮ সালে উমিচাদ এদেশে সৰ্ব্বপ্রথম উইল করেন । - কে কোন সম্পত্তি উইল করিতে পারেন । দান সম্বন্ধে আইনের যে বিধানগুলি আছে, উইল সম্বন্ধেও তাহার অনেকগুলি প্রযোজ্য হয়। যে ব্যক্তি যে সম্পত্তি দান করিতে পারেন, তিনি তাহ! উইল করিয়াও দিয়া যাইতে পারেন । পুত্রগণকে বঞ্চিত