পাতা:হিন্দু আইন -বিভূতিভূষণ মিত্র.pdf/৮৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ዓõ হিন্দু আইন দিয়া যেন নিজের ইচ্ছামত নূতন বিধান করিতে গিয়াছেন। স্বতরাং তাহ সিদ্ধ হইবে না ; অতএব যতীন্দ্রমোহন ঐ সম্পত্তি জীবনস্বত্বে পাইবেন, উইলের এই পৰ্য্যন্ত ব্যবস্থা সিদ্ধ থাকিবে, তাহার পরবর্তী ব্যবস্থাগুলি সমস্তই অসিদ্ধ হইবে। তাহার পর, হিন্দু আইন অনুসারে স্ত্রীলোকগণ ( যথা পত্নী, কন্যা ) এবং স্ত্রীলোকের বংশীয় ব্যক্তিগণ (যথা দৌহিত্র, ভাগিনেয় ) উত্তরাধিকারী হইয়া থাকেন ; কিন্তু এই উইলে তাহাও নিষেধ করা হইয়াছে ; এরূপ নিষেধও হিন্দু-আইন-বিরুদ্ধ । ( যতীন্দ্রমোহন ঠাকুর বঃ জ্ঞানেন্দ্রমোহন ঠাকুর, ১৮ উইকলি রিপোর্টার ৩৫৯ ) । আরও একটা মোকদ্দমায় এইরূপ ঘটনা ঘটিয়াছিল। দুই ভ্রাত এই মৰ্ম্মে একটা দলিল সম্পাদন করিয়াছিলেন যে, তাহাদের মৃত্যুর পর সম্পত্তির একজনের বংশের পুরুষ ওয়ারিসগণ পর পর ভোগ করিবে ; সেই বংশে যদি কোনও কালে পুরুষ ওয়ারিস আর না থাকে, তাহা হইলে অপর ব্যক্তির বংশের পুরুষ ওয়ারিসগণ পাইবে ; এবং যতক্ষণ এই দুই বংশে পুরুষ ওয়ারিস থাকিবে, ততক্ষণ কোনও স্ত্রীলোক ঐ সম্পত্তিতে অধিকারিণী হইতে পরিবে না । প্রিভিকেন্সিল স্থির করিলেন যে এই ব্যবস্থা আইন-বিরুদ্ধ। হিন্দু আইনে স্ত্রীলোকগণ ওয়ারিস হইতে পারেন ; স্বতরাং তাহারা কোন কালেই ওয়ারিস হইবে না, এইমৰ্ম্মে ব্যবস্থা করিয়া দলিলকৰ্ত্তাগণ হিন্দু আইনের উত্তরাধিকারের নিয়ম লঙ্ঘন করিয়া নিজেরা একটা নূতন নিয়ম করিতে বসিয়াছেন ; এইরূপ বিধান বে-আইনী ও অসিদ্ধ ( পূর্ণশশী বঃ কালৗধন, ৩৮ কলিকাতা ৬০৩ ) । স্বতরাং উইলের কোনও সর্ত দ্বারা যদি কোনও আইনের বিধানের উপর হস্তক্ষেপ করা হয়, তাহা হইলে উহা অসিদ্ধ হইবে। ইহার আরও একটা দৃষ্টান্ত দেওয়া যাইতেছে । কোন ব্যক্তি উইল করিয়৷ তাহার সমস্ত সম্পত্তি র্তাহার তিন পুত্রকে দিয়া গিয়াছিলেন ; ঐ উইলে এইরূপ সর্ভ ছিল যে যদি ঐ তিন পুত্রের মধ্যে একজন নিঃসস্তান অবস্থায়