পাতা:হিন্দু আইন -বিভূতিভূষণ মিত্র.pdf/৮৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ty o श्न्गूि आहेन ঐ সম্পত্তি নিবৃঢ়ি স্বত্বে পাইবে তাহা তো স্থির করা চাই। প্রিভি কেন্সিল স্থির করিলেন যে “কে ঐ সম্পত্তি নিবৃঢ়ি স্বত্বে পাইবে তাহ যখন উইলে লেখা নাই, তখন যতীন্দ্রমোহনের মৃত্যুর পর উইলকৰ্ত্তার আইনমত উত্তরাধিকারী ঐ সম্পত্তি পাইবেন । এমন কি, জ্ঞানেন্দ্রমোহন যদি সে সময়ে জীবিত থাকেন তো তিনিই পাইবেন । যদিও প্রসন্নকুমার তাহাকে ত্যজ্যপুত্র করিয়াছেন তথাপি তিনি সম্পত্তি পাইতে ক্ষমতাপন্ন হইবেন, কারণ নিজের উত্তরাধিকারীকে বঞ্চিত করিতে হইলে সম্পত্তি অপর কোনও ব্যক্তিকে নিবৃঢ়ি স্বত্বে দেওয়া চাই ।” অর্থাৎ প্রসন্নকুমার ঠাকুর যাহা নিবারণ করিতে চাহিয়াছিলেন, উইলের দোষে তাহাই ঘটিল, এবং তাহার উইল করিবার উদ্দেশুই ব্যর্থ হইল। ফলে যাহা ঘটিয়াছিল, তাহা সকলেই জানেন ; অবশেষে সেই জ্ঞানেন্দ্রমোহনেরই দৌহিত্র ঐ সম্পত্তি পাইয়াছিলেন । পূৰ্ব্বে লিখিত হইয়াছে যে, যে ব্যক্তি উইলকৰ্ত্তার মৃত্যুকালে জন্মগ্রহণ করে নাই, তাহাকে কোনও সম্পত্তি উইল করিয়া দেওয়া যায় না। কিন্তু যদি কেহ এই মৰ্ম্মে উইল করেন “আমার মৃত্যুর পর একটা বিগ্ৰহ স্থাপন করা হইবে, এবং ঐ বিগ্রহ সেবার জন্য আমি এই সম্পত্তি দান করিলাম” তাহা হইলে ঐ উইল কি সিদ্ধ হইবে ? ১৯০৯ সালের পূর্বের সমস্ত মোকদ্দমায় স্থির হইয়াছিল যে ঐরুপ দান অসিদ্ধ, কারণ ইলকৰ্ত্তার মৃত্যুকালে যে দেবমূৰ্ত্তি বর্তমান নাই তাহাকে কোনও সম্পত্তি দেওয়া যায় না ( উপেন্দ্রলাল বঃ হেমচন্দ্র, ২৫ কলিকাতা ৪০৪ ) । কিন্তু ১৯০৯ সালে একটী মোকদ্দমায় ঐ নিম্পত্তি রহিত হইয়া ইহা স্থির হইয়াছে যে “মানুষের সম্বন্ধে এই নিয়ম আছে বটে যে, যে মনুষ্য উইলকৰ্ত্তার মৃত্যুকালে জন্মগ্রহণ করে নাই, তাহাতে সম্পত্তি দেওয়া যায় না ; কিন্তু কোনও মন্দিরের দেব-দেবী মূৰ্ত্তি তো মানুষ নহৈ যে তাহাদের সম্বন্ধেও এই নিয়মটা প্রয়োগ করিতে হইবে । সুতরাং উইলকর্তা যদি তাহার