পাতা:হিন্দু মহিলাগণের হীনাবস্থা - কৈলাসবাসিনী দেবী.pdf/২৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
হিন্দু মহিলাগণের হীনাবস্থা ।
১৫

করিয়া এক নৈকষ্য সন্তান মনে করিলেন এই ব্যক্তি অতিশয় প্রধান বংশীয় এবং আমাদের করণীয় ঘর, ইহার মৃত্যু হইলে আমার দুহিতাগণের আর বিবাহ হইবার সম্ভাবনা নাই এবং কন্যাগণের বিবাহ না হইলেও পুত্রগণের মান রক্ষা হয় না। কিন্তু ইহার সহিত বিবাহ হইলে অচিরাৎ বিধবা হইবে, তবে ইহারা কুলীন কন্যা ইহাদিগের বিবাহ হওয়া আর না হওয়া অথবা বিধবা হওয়া সমান। কিন্তু বিবাহ দিলে পুত্রগণের মান রক্ষা হয় সুতরাং ইহাদিগের বিবাহ দেওয়া কর্ত্তব্য, এইরূপ বিবেচনা করিয়া ঐ মুমুর্ষ অবস্থাপন্ন বরের সহিত স্বীয় তনুজাদিগের বিবাহ দিলেন।

 হে সর্ব্ব জন হিতৈষী মহোদয়গণ! আপনারা এই স্থলে বিবেচনা করিয়া দেখুন ইহাতে আর শিখদিগের কন্যা হত্যাতে কি বিশেষ রহিল? তাহারা একেবারে নষ্ট করে, ইঁহারা চিরকাল দগ্ধ করেন এই মাত্র বিশেষ। তাহারা কন্যা দান করিবার নিমিত্ত অপরের নিকট ন্যূনতা স্বীকার ভয়ে ঐ দুষ্কর্মে রত হয়, ইহারা কুল না-শঙ্কায় এই ঘৃণিত কর্ম্মে প্রবৃত্ত হয়।

 এই বিষয়ে আরো একটী দৃষ্টান্ত স্মরণ হইল, সুরতরঙ্গিণীর পশ্চিম তীরস্থ এক গ্রামে ঐরূপ প্রধান বংশীয় এক ব্যক্তি বাস করিতেন, তাঁহার এক মাত্র ভগিনী ছিল, সেই ভগিনীর উদ্বাহের নিমিত্ত তাঁহার পিতৃ স্বসার সপত্নী পুত্রের সহিত সম্বন্ধ নির্ব্বন্ধ করিয়াছিলেন। ইতিমধ্যে সেই কন্যার অতি শঙ্কটাপন্ন পীড়া উপস্থিত হইল, পরে সেই পীড়ার কিঞ্চিৎ উপশম হইলে তাঁহার পিতৃ স্বসৃপতি