পাতা:হিন্দু মহিলাগণের হীনাবস্থা - কৈলাসবাসিনী দেবী.pdf/২৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
১৮
হিন্দু মহিলাগণের হীনাবস্থা ।

স্থলে বিবেচনা করিয়া দেখুন কত দূর উপহাস জনক কার্য্য হইল। কোথায় বর কন্যার পাণি গ্রহণ করিবে না কন্যাই বরের পাণি গ্রহণ করিল। এইরূপ ইহাদিগের আরও অনেক ঘটিয়া থাকে। হুগলি জেলার অন্তঃপাতি কোন গ্রামে এক প্রধান বংশীয় ত্রিকুল কন্যা ষড়বিংশতি বর্ষবয়স পর্য্যন্ত অবিবাহিতাবস্থায় অবস্থিতি করিয়া পরে এক দিন তাহার মাতাকে কহিল তুমি যদ্যপি আমার বিবাহ না দেও তবে আমি কুপথগামিনী হইব। কিন্তু তাহার মাতা বলিল আমি এরূপ দুঃসাহসিক কর্ম্মে প্রবৃত্ত হইতে পারিব না। তোমার বৈমাত্রেয় ভ্রাতাগণ আমার প্রতি অতিশয় মন্যু করিবেন ও তাঁহাদিগের কুল একেবারে ক্ষয় হইবে, কারণ আমাদিগের সদৃশ ঘর প্রায় দেখিতে পাওয়া যায় না; আমি তোমার নিমিত্ত এত বড় কুলটা একেবারে নষ্ট করিব? কুলনাশিনী দোষে দূষিত হইয়া পরলোকে নিরয় গামিনী ও ইহলোকে কুলনাশিনী নামে বিখ্যাত হইব? তুমি যাহা ইচ্ছা তাই কর। উহার মাতা এই কথা বলিয়া পক্ষান্ত হইলেন, পরে তোক পরম্পরায় ঐ কথা ব্যক্ত হইলে সেই গ্রামস্থ কতিপয় ভদ্র সন্তান একত্রিত হইয়া তাহার বিবাহ দিবার জন্য বর অন্বেষণ করিতে লাগিলেন, পরে বংশ বাটীস্থ কোন ভদ্র গৃহস্থের দৌহিত্রকে প্রাপ্ত হইয়া তাহার সহিত ঐ কন্যার বিবাহ দিলেন, কন্যার মাতা মাতামহ আশ্রমে বাস করিতেন, তাহার মাতার মাতুল ঐ বিষয়ে অতিশয় রুষ্ট হইয়া উভয়কে আপন আলয় হইতে দূরীভূত করিলেন, তাহাতে যাহারা ঐ কন্যার বিবাহ দিয়াছিল তাহারা ঐ কন্যাকে লইয়া তাহার স্বামীর নিকট