পাতা:হিন্দু মহিলাগণের হীনাবস্থা - কৈলাসবাসিনী দেবী.pdf/৩০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
২০
হিন্দু মহিলাগণের হীনাবস্থা ।

ঘটিয়া থাকে তাহা বর্ণনা করা যায় না। ইহার মধ্যে যহারা অবিবাহিতাবস্থায় চিরকাল অতিবাহিত করে, তাহাদিগের আর দুঃখের সীমা থাকে না, তাহারা প্রায় অনেকেই কুলকলঙ্চিনীহইয়া কুলে কালি দিয়া কুপথ গামিনী হয় এবং ঐ দুষ্কর্ম্মের ফল স্বরূপ ভ্রণ হত্যাদি মহাপাপে পতিত হয়। আহা! কি দুঃখের বিষয় যে তাহারা বিবাহ না হওয়া প্রমুক্তই এইরূপ দুষ্করমে রত হয়।


বঙ্গ দেশীয় ভঙ্গ কুলীনদিগের বিষয়।

 যাঁহারা আপন হস্তেই ঐ পবিত্র কুল ভঙ্গ করিয়া ভক্ষণ করেন, তাঁহাদিগকে স্বকৃতভঙ্গ বলা যায়, এই স্বকৃতভঙ্গদিগের মানের আর পরিসীমা থাকে না; ইহারা ত্রিদশাধিপতির ন্যায় অতি আধিপত্য করিয়া থাকেন, ইহাঁরা প্রথমে কোন ধনাঢ্য বংশজ গৃহে আপন কুল ভঙ্গ করিয়া পরে অনেকানেক রমণীর পাণি গ্রহণ করেন, এবং লোকে ইহাঁদিগকে অতি আদর পূর্ব্বক আপন কন্যাগণকে প্রদান করেন। এই স্বকৃতভঙ্গদিগের সন্তানেরা দ্বিপুরুষে ও তাহাদের সন্তানগণ তিন পুরুষে, এইরূপ চারি পাঁচ ছয় ও সাত পুরুষ অবধি কুল থাকে, তাহার পর ঐকুল একেবারে নষ্ট হইয়া যায়। এই কুলীনেরা বহু সঙ্খ্যক বিবাহ করিয়া থাকেন, এবং ইহাঁদিগের বিবাহই উপজীবিকা, ইহাঁরা নবম বা দশম বর্ষ বয়সে বিবাহ করিতে আরম্ভ করেন এবং আয়ুঃ শেষ হইলে তাহারও শেষ হয়। ইহাঁরা মন্ত্রদাতা গোঁসাইদিগের মত তল্পী ও ভৃত্য সঙ্গে করিয়া দেশ দেশান্তর ভ্রমণ করেন, গোঁসাইগণ যেমন নতন শিষ্যদিগকে মন্ত্ দান ও পুরাতন শিষ্যের নিকট হইতে