পাতা:হিন্দু মহিলাগণের হীনাবস্থা - কৈলাসবাসিনী দেবী.pdf/৩১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
হিন্দু মহিলাগণের হীনাবস্থা ।
২১

বার্ষিক গ্রহণ করিবার নিমিত্ত শিষ্যালয়ে গমন করেন, ইহাঁরাও তেমনি পুরাতন শ্বশুরালয়ে স্ত্রীদিগের নিকট হইতে পূজা গ্রহণ এবং নুতন আলয়ে বিবাহের নিমিত্ত গমন করেন, ইহাঁদিগের নিকট এক এক খানা খাতা থাকে, তাহাতে কাহার কত গুলি বিবাহ হইয়াছে ও কোন বৎসর কোন স্থানে কাহাকে বিবাহ করিয়াছেন তাহা লিখিত থাকে; কিন্তু ইহাঁদিগের মধ্যে যাঁহাদের কিঞ্চিৎ সঙ্গতি থাকে, তাঁহারা আর শ্বশুরবাটীর প্রত্যাশা রাখেন না এবং তাহাদিগের মানও অধিক, তাঁহারা দশ বার মুদ্রা পূজা স্বরূপ প্রাপ্ত না হইলে শ্বশুরালয়ে গমন করেন না, এবং শ্বশুরেরাও প্রায় অনেকেই সামান্য গৃহস্থ, তাহারা কি প্রকারে এত ব্যয় করিয়া জামাতাকে লইয়া যাইতে পারে, সুতরাং ঐ কামিনীগণ চিরকালই এক অবস্থায় পিত্রালয়ে অবস্থিতি করে, এবং স্বামি সহবাস অভাব প্রযুক্ত কেহ কেহ অতি ঘৃণিত বিষয়েও প্রবৃত্ত হইয়া থাকে। এই কুলীন মহাশয়দিগের মধ্যে প্রায় অনেকেই একবার বিবাহ করিয়া আবার পুত্রের বিবাহের সময় স্ত্রীর সহিত সাক্ষাৎ করিয়া থাকেন, সেই পুত্রও বিবাহের সময় পিতৃ দর্শন করেন। আহা! কি ঘৃণিত কার্য্য, ইহাঁরা ব্যভিচার দোষকে দোষ বলিয়া ঘৃণা করেন না বরং শ্লাঘা করিয়া বলেন, আমরা কুলীন সন্তান আমাদিগের উহাতে লজ্জা কি? কুলীনদিগের কাহার ঘরে এরূপ নাই এবং আমাদিগের পিতা পিতামহ ও প্রপিতামহ প্রভৃতি সকলেরই এইরূপ হইয়াছে, তবে আমারই বা ইহাতে অপমান কি, আমরা কুলীন গঙ্গার তুল্য পবিত্র, গঙ্গায় যেমন বিষ্ঠা মড়া প্রভৃতি নানাবিধ ঘৃণাজনক দ্রব্য