পাতা:হিন্দু মহিলাগণের হীনাবস্থা - কৈলাসবাসিনী দেবী.pdf/৩৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
২৮
হিন্দু মহিলাগণের হীনাবস্থা।

বলিল, আমার মা বাপ আবার কে? তাঁহারা ব্রাহ্মণ আমি নাপিত কন্যা, এই কথা শুনিয়া সকলে মনে করিল ইহা বিকারের প্রলাপ হইবে। পরে ঐ বধূ রোগ মুক্ত হইলে তাঁহারা বিশেষ অনুসন্ধান দ্বারা জানিতে পারিলেন যে সে যথার্থই নাপিত কন্যা, কিন্তু জানিয়াও ঐ বহুমূল্যের বধূটীকে ত্যাগ করিতে পারিলেন না, সে দাসীর মত গৃহে রহিল, পরে তাহার গর্ব্ভে অনেক সন্তান সন্ততিও জন্মিল। দেখ আবার বর্ণ সঙ্কর উৎপন্ন হইল, এখন এজাতির কি উপাধি হইবে?

জাতিভেদ।

 অতি প্রাচীনকালে এই ভারতবর্ষে চারি বর্ণ মাত্র ছিল, যথা ব্রাহ্মণ, ক্ষত্রিয়, বৈশ্য ও শূদ্র। পুরাণে কথিত আছে যে, এই সকল বর্ণ ব্রহ্মার অঙ্গ প্রত্যঙ্গ হইতে উৎপন্ন হয়, এবং তাহাদিগের কার্য্যকারণেরও বিশেষ নিয়মাদি ছিল, যথা ব্রাহ্মণগণ বেদ অধ্যয়ন, ক্ষত্রিয়গণ রাজ্য শাসন, ও বৈশ্যগণ ব্যবসায়, এবং শূদ্রগণ দাসত্ব কর্ম্মে নিযুক্ত থাকিত। কিন্তু এক্ষণকার মত আচার ব্যবহারাদির কোন কঠিন নিয়ম তৎকালে প্রচলিত হয় নাই। কেহ কাহার অন্ন গ্রহণ করিলে তাহার জাতি নাশ হইত না, কেহ অন্য জাতীয় কন্যা গ্রহণ করিলেও পতিত হইত না। মহাভারতে ইহা বাহুল্যরূপে বর্ণিত আছে। অধিক কি কহিব তৎকালে ব্যভিচারাদি বিষম দোষও দোষ বলিয়া ধর্ত্তব্য হইত না, ইহা সম্ভব পর্ব্বে বিশেষ রূপে বর্ণিত আছে,তাহার কিয়দংশ এস্থলে উদ্ধত হইল। এই অবনীমণ্ডলে উদ্বালক নামে এক