পাতা:হিন্দু মহিলাগণের হীনাবস্থা - কৈলাসবাসিনী দেবী.pdf/৪১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
হিন্দু মহিলাগণের হীনাবস্থা ।
৩১

ও আমাদিগের দেশে বিবাহাদির যে রূপ অনিয়ম আছে তাহারও অভাব হইত, কারণ যাহার কন্যা রূপবতী ও গুণবতী হইত সকলে তাহার কন্যাই গ্রহণ করিত, এবং যাহার পুত্র গুণবান হইত তাহাকেই সকলে কন্যা দান করিত, আর সকলে এক জাতি হইলে একাসনে উপবেশন করিয়া অন্ন আহার করিত, আহা! একান্ন আহারেতে যে কতদুর মিত্রতা জন্মায় তাহা কাহার অবিদিত আছে, এবং এই মিত্রতা বশতঃ একের বিপদ উপস্থিত হইলে অন্যে সহায়তা করিত, এইরূপে আমাদিগের এই বাঙ্গলা ধাম পরম সুখধাম হইত। এই প্রকারে অনেকেই এই জাতিভেদের অভেদ করিবার নিমিত্ত বিশেষরূপে যত্ন করিতেছেন, এবং এবিষযে কেহ কেহ কৃতকার্য্যও হইয়াছেন, কিন্তু এখনও প্রকাশ্যরূপে হইতে পারেন নাই, তাঁহারা গোপনে প্রদীপ নির্ব্বাণ পূর্ব্বক পর অন্ন ভক্ষণ করিয়া স্বদেশের পরম হিতসাধন করিলাম বলিয়া কতই শ্লাঘা করেন, কিন্তু ইহা সাধারণে প্রচলিত হইলে আমরাও শ্লাঘা করিব ও রন্ধন ক্লেশ হইতে মুক্ত হইয়া অনায়াসে ক্রয় করিয়া ভোজন করিব, এবং পুত্র কন্যাগণের বিবাহের নিমিত্তও বড় ভাবিতে হইবেনা অনায়াসেই ঐ কার্য্য সমাধা হইবে, কোথায় স্বজাতীয় পুত্র কন্যা চেষ্টা করিব? এই সহবে অনেক ধনাচ্য স্বর্ণবণিক বসতি করেন তাঁহাদিগের আলষেই উহাদিগের বিবাহ দিব। আহা! কি দুঃখের বিষয় যে আমাদিগের এই নব্যসম্প্রদায়ী মহোদয়গণ কেবল এই জাতিভেদের উপরেই বিরক্ত হইয়াছেন! কিন্তু ইহা অপেক্ষা যে কত গুরুতর দোষে এই দেশ একেবারে ছারখার হইতেছে, তাহার