পাতা:হিন্দু মহিলাগণের হীনাবস্থা - কৈলাসবাসিনী দেবী.pdf/৫১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
হিন্দু মহিলাগণের হীনাবস্থা।
৪১

নারীগণের রূপই বল, সেই রূপ বিহীনা যে নারী সে স্বামির নিকট যে কত দূর পরিমাণে আদরণীয়া হয় তাহা সকলেই জানেন। পুরুষগণ কুরূপ হইয়া বিদ্যা ও জ্ঞান বলে পরম শ্রেষ্ঠত্ব প্রাপ্ত হয়েন, কিন্তু নারীগণের সেরূপ হইবার কোন সম্ভাবনা নাই, আর গুণবতী হইলেই বা কি হইবে, তাহারা পুরুষ জাতির ন্যায় কোন অংশেই তুল্য হইতে সমর্থ নহে। হায়! আমাদিগের দেশে যদ্যপি বিবাহ বিষয়ক এরূপ অসঙ্গত নিয়ম প্রচলিত না থাকিত, তবে যে কত দূর পরিমাণে সুখের বিষয় হইত তাহা বলিবার নহে। স্ত্রী পুরুষ উভয়ে সমতুল্য না হইলে কখনই বিবাহ দেওয়া উচিত নহে, কারণ উভয়ে তুল্য না হইলে কোন প্রকারেই ঐক্য হইবার সম্তাবনা নাই এবং তদ্ব্যতিরেকে প্রণয় সংস্থাপনের আর উপায়ান্তর নাই, কিন্তু আশ্চর্য্যের বিষয় এই যে পিতা মাতা প্রভৃতি আত্মীয়বর্গেরা এতাদৃশ ঘটনা সমূহ স্বচক্ষে প্রতি গৃহে দর্শন করিয়াও এতদ্বিষয় হইতে নিরস্ত হয়েন না, তাঁহারা প্রাণসম প্রিয়তম স্বীয় তনুজ ও তনুজাগণকে অসম যোগ্য পাত্র কন্যা গণের সহিত বিবাহ দিতে ক্ষান্ত হয়েন না। হায়! কি আক্ষেপের বিষয়, জনক জননীগণ স্বীয় তনয় তনয়াগণের রূপ চরিত্রাদি গোপন পূর্ব্বক তাহাদিগকে পরিণয় পাশে বদ্ধ করেন, এবং তাহারা অগত্যা তাহাতেই সম্মত হয়, কিন্তু যখন বয়ঃপ্রাপ্ত হইয়া ভাল মন্দ বিবেচনা করিতে সমর্থ হয় তখন উভয়ে অতিশয় মনস্তাপ পায়, এবং কেহ কেহ পুনর্ব্বার মনোমত স্ত্রী গ্রহণ করিতে প্রবৃত্ত হয়, কিন্তু ঐ পূর্ব্ব বিবাহিতা নারী একেবারে চির কালের নিমিত্ত বিষম দুঃখ পারাবারে পতিত হয়, ইহার মধ্যে