পাতা:হিন্দু মহিলাগণের হীনাবস্থা - কৈলাসবাসিনী দেবী.pdf/৫৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৪৪
হিন্দু মহিলাগণের হীনাবস্থা ।

তাহারা কি প্রকারে সর্ব্ব বিষয়ে নিপুণতা ও বিদ্যা বিষয়ে বিশুদ্ধ জ্ঞান লাভ করিতে সমর্থ হইবে, সেই হেতু এই বাল্য বিবাহের পরিবর্ত্তন না হইলে শিক্ষা বিষয়েও যত্ন বিফল হইবে।

 অতি পুরাকালে আমাদিগের দেশে এই অনিষ্টকর বিবাহ প্রচলিত ছিল না, এবং তাৎকালিক মহিলাগণও আমাদিগের মত বিদ্যা রত্ন বিহীনা হইয়া এই মহীমওলে কেবল বৃথা কার্য্যে রত থাকিতেন না, পুরাণ ও ইতিহাস গ্রন্থে ইহার ভূরি ভূরি প্রমাণ প্রাপ্ত হওয়া যায়, অতএব এক্ষণেও পুরাকালের ন্যায় সকলে আত্মজাগণকে অতি যত্ন পূর্ব্বক নানা বিষয়ে সুশিক্ষিতা করিয়া তাহাদিগের রূপ গুণাদির প্রতি বিশেষ দৃষ্টি করত তুল্য পাত্রে অর্ণ করিলে কতই সুখের বিষয় হয়, এবং মহিলাগণও এই ঘৃণিত অবস্থা হইতে মুক্ত হইয়া এই মহীতলে পরম সুখে অবস্থিতি করেন, কিন্তু অন্যান্য দেশীয়গণের ন্যায় অস্মদ্শীয়গণের বিবাহ নিয়ম কখনই সমান হইতে পারিবে না, কারণ এই দেশ অন্যান্য দেশ অপেক্ষা উষ্-প্রধান সুতরাং এস্থানবাসিরা অন্য দেশীয়গণ অপেক্ষা অল্প বয়সেই যৌবন প্রাপ্ত হয়, ইহাদিগের বিবাহও অন্য দেশীয়গণ অপেক্ষা অল্প বয়সেই দিতে হয়, সেই নিমিত্ত পুত্রগণের বিংশতি বৎসর বয়সে এবং কন্যাগণের ত্রয়োদশ বা চতুর্দ্দশ বৎসর বয়সকালে বিবাহ দেওয়া বিধেয়, তৎকালে কন্যাগণ বাল্যাবস্থা হইতে উত্তীর্ণ হইয়া তরণাবস্থা প্রাপ্ত হওত ভাল মন্দ বিবেচনা করিতে সমর্থ হয়, এবং বিদ্যা বিষয়ে কি অন্যান্য সাংসারিক কার্য্য বিষয়ে কিঞ্চিৎ পরিমাণে জ্ঞানোদয় হয়,