পাতা:হিন্দু মহিলাগণের হীনাবস্থা - কৈলাসবাসিনী দেবী.pdf/৫৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
হিন্দু মহিলাগণের হীনাবস্থা।
৪৫

আর তৎকালে শ্বশুরালয়ে গমন করিয়াও বালিকাগণের ন্যায় অসহ্য যন্ত্রণা ভোগ করিতে হয় না।

বিবাহের পর কামিনীগণের শ্বশুরালয়ে গমন ও তৎকালীন তাহাদিগের মনোগত ভাব ও কার্য্যের বিষয়।

 মহিলাগণ বিবাহান্তে পিত্রালয়ে কিয়ৎকাল অবস্থিতি করিয়া তৎপরে শ্বশুর সদনে গমন করে, ইহাকেই লোকে নবধ্বাগমন অথবা দ্বিরাগমন কহে, এইকালে বালিকাগণ কেবল পিতা, মাতা, ভ্রাতা, ভগিনী প্রভৃতি আত্মীয়গণের নিকটেই অবস্থিতি করিতে ইচ্ছা করে, এবং তাহাদিগের সংসর্গ পরিত্যাগ করিয়া কোন কার্য্য বশতঃ এক দিবসের নিমিত্ত যদি কোন স্থানে গমন করিতে হয়, তবে তাহাতে উহারা বিসন্ন হয় অতএব কি প্রকারে তাহারা একেবারে অতি দীর্ঘ কালের নিমিত্ত অথবা চিরকালের নিমিত্ত শ্বশুরালয়ে গমন করিতে ইচ্ছুক হইবে? তৎকালে তাহারা শ্বশুর সদনের নাম শ্রবণেই একেবারে সশঙ্কিত হয়, এবং সেই নব বালিকাগণের কুসুম সদৃশ সুকোমল হৃদয় অভ্যন্তরে ঐ চিন্তাই অহর্নিশি দেদীপ্যমান থাকে,এবং সেই চিন্তা বশত তাহাদিগের মুখ পুণ্ডরীকের মনোহর প্রভা মলিন হইতে থাকে। আহা! বালিকাগণ তৎকালে কোথায় প্রফুল্ল হৃদয়া ও হাস্য বদনা হইয়া জনক জননীর আনন্দ বর্দ্ধন করিবে, না তদ্বিপরীত ভাবের আবির্ভাব হয়। আহা! পিতা মাতাগণ সেই প্রাণসম তনয়াগণের মুখচন্দ্র ম্লান দেখিয়া এবং তাহারা শ্বশুরালয়ে গমন করিয়া কি প্রকারে সহবাস করিতে সমর্থা হইবে এবং তাঁহাদিগের