পাতা:হিন্দু মহিলাগণের হীনাবস্থা - কৈলাসবাসিনী দেবী.pdf/৬৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৫৬
হিন্দু মহিলাগণের হীনাবস্থা।

মুখ মণ্ডল মধু দ্বারা সিক্ত করিতে ইচ্ছা করে। অতএব সকলে আত্ম পর বিবেচনা করিয়া কার্য্য করিবেন, এবং সেই কার্য্য দ্বারা পরস্পর সৌভাগ্য শালিনী হইয়া পরম সুখে সংসার যাত্রা নির্ব্বাহ করিতে সক্ষম হইবেন, ও তাঁহাদিগের যশঃ সৌরভে দিঙ্‌মণ্ডল আমোদিত হইবে।

ভাশুর পত্নী ও দেবর পত্নীগণের পরস্পর ব্যবহার।

 আহা! কি পরিতাপের বিষয় যে আমাদিগের এই বঙ্গদেশস্থ প্রায় সমস্ত গৃহেই ভ্রাতৃ বিচ্ছেদ রূপ বিষম বিষ প্রবেশ করিয়া সেই গৃহ একেবারে দগ্ধ করিতেছে, কিন্তু এই ভয়ঙ্কর বিচ্ছেদানলে সকলে নিরন্তর সন্তাপিত হইয়াও তাহা নিবারণ করিতে কেহই যত্নবান হয়েন না, এবং এই বাড়বানল সদৃশ বিচ্ছেদানল যে কোথা হইতে কি প্রকারে উৎপন্ন হয় ও কোন উপায় অবলম্বনে তাহা একেবারে নির্ব্বাপিত হয় তাহার যথার্থ অনুসন্ধানে কেহই মনোনিবেশ করেন না, কিন্তু কোন কোন মহাশয় অনুভব করিয়া থাকেন যে পৈতৃক ধন সম্পত্তিই ইহার মুলীভূত কারণ, কিন্তু সেই সিদ্ধান্ত কি প্রকারে যুক্তি মূলক হইতে পারে। যদ্যপি পৈতৃক ধন সম্পত্তি ইহার কারণ হইত তবে এই অনল কখনই সর্ব্বত্র ব্যাপী হইত না, কেবল ধনাঢ্য গৃহেই প্রবেশ করিত। সেই হেতু এক্ষণে বিশেষ রূপে প্রতীয়মান হইতেছে যে শুদ্ধ দেবর পত্নী ও ভার পত্নীগণের পরস্পর ব্যবহার দোষেই এই বিষম অনল উদ্ভূত হইয়া থাকে। অতএব হে মহোদয়গণ! তোমরা সেই