পাতা:হিন্দু মহিলাগণের হীনাবস্থা - কৈলাসবাসিনী দেবী.pdf/৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

গ্রন্থ প্রকাশকের উক্তি


 গ্রন্থ রচয়িত্রী রচনা আরম্ভ করিয়া উহা মুদ্রিত ও সাধারণ্যে প্রকাশ করিতে আমাকে অনুরোধ করেন, কিন্তু ইহাঁর এতাদৃশ সাহস দেখিয়া আমি তাহা এক প্রকার অগ্রাহ্য করিয়াছিলাম, যেহেতু ইনি একাল পর্যন্ত কখন কোন সন্দর্ভ লিখিতে কালি কলম একত্র করিয়াছেন কিনা সন্দেহ, তাহাতে যে ইহাঁঁর প্রথম লেখা একেবারে প্রকাশ যোগ্য হইবে এমত বিশ্বাস কখনই হয় নাই। কিন্তু যখন রচনা সমাপন করিয়া এক দিবস আমার নিকট উহা পাঠ করিতে লাগিলেন, তখন ইঁহার রচনার পারিপাট্য শ্রবণে চমৎকৃত হইলাম, এবং অনেক প্রকাশিত গ্রন্থ অপেক্ষা ইঁহার রচনা শ্রেষ্ঠ বোধে আমি অবিকল মুদ্রিত করিয়া প্রকাশ করিলাম। এখন সাধারণের গ্রাহ্য যোগ্য হইবে কি না তাহা আমি বালিতে পারি না, কিন্তু সাধারণের নিকট উৎসাহ পাইলে যে ইনি এতদ্বিষয়ে প্রথমা বলিয়া গণ্য হইবেন তাহা বলা বাহুল্য।

 গ্রন্থ রচয়িত্রীর ভাষা বিষয়ে অসামান্য ক্ষমতার বিষয় কিঞ্চিৎ সাধারণের গোচর না করিয়া আমি ক্ষান্ত থাকিতে পারিলাম না। দ্বাদশ বর্ষ বয়ঃক্রম পর্যন্ত ইনি বর্ণ মাত্র শিক্ষা করেন নাই, পরে আমার নিকট কিঞ্চিৎকাল বর্ণ বিষয়ে উপদেশ পাইয়া, স্বয়ং বাঙ্গলা গ্রন্থ সমুদয় পাঠ করত, অল্প দিনের মধ্যেই যে পরিমাণে তদ্বিষয়ক জ্ঞানোপার্জ্জন করিয়াছেন, তাহা অনেকে বহু কাল বিদ্যালয়ে শিক্ষকের অধীন থাকিয়াও পারেন কি না সন্দেহ। সমস্ত দিবা