পাতা:হিন্দু মহিলাগণের হীনাবস্থা - কৈলাসবাসিনী দেবী.pdf/৭৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
হিন্দু মহিলাগণের হীনাবস্থা।
৬৩

এবং কাহার কি প্রকার অভিপ্রায় তাহা কোন ক্রমেই ব্যক্ত করিতে ইচ্ছা করে না। হায়! যেখানে উভয়ে অভেদাত্মা ও এক ব্যবসায়ী হইয়া যাবজ্জীবন একত্রে সহবাস করিতে হয়, সেখানে উভয়ে লুকাচুরি খেলিলে কি প্রকারে যথার্থ প্রণয়ের আবির্ভাব হইতে পারে, এবং কি প্রকারেই বা নারীগণ পাতিব্রত্য-ধর্ম্মানুষ্ঠানে প্রবৃত্ত হইতে পারে।

 হা বিধাতঃ! কতদিনে এই বঙ্গদেশবাসিনীগণের হৃদয়াভ্যন্তর হইতে অতি দোষাবহ কুটিল ভাবের অভাব হইবে? কত দিনে তাহাদিগের চিত্তক্ষেত্র সরলতারূপ শান্তি শলিলে অভিষিক্ত হইবে? কতদিনে তাহারা পতিপ্রাণা ও পতি-আজ্ঞানুবর্ত্তিনী হইয়া পরম সুখে সংসার যাত্রা নির্ব্বাহ করিতে সমর্থ হইবে? কত দিনে তাহাদিগের যশঃ শশাঙ্ক উদয় হইয়া দিগ্দিগন্ত উদ্দীপিত করিবে? হে দীননাথ! আমার এই কাতরোক্তি শ্রবণ কর! মহিলাগণের এই অসহ্য যন্ত্রণা হরণ কর, ও তাহাদিগের প্রতি কৃপা কটাক্ষ পাত কর।

বঙ্গদেশীয় মহিলাগণের বিদ্যাভ্যাস।

 এক্ষণে প্রায় প্রত্যেক গৃহের কামিনীগণই বিদ্যাভ্যাস করিতে প্রবৃত্ত হইয়াছেন, ইহাঁরা অনেকেই স্বদেশীয় ভাষায় কিয়ৎপরিয়াণে শিক্ষিতা হইতেছেন, এবং কেহ কেহ ইংলণ্ডীয় ভাষার নিউইস্পেলিং আদি ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র গ্রন্থও পাঠ করিয়াছেন, কিন্তু ইহাতে যে তাঁহারা কতদূর পরিমাণে কৃতকার্য্য হইতে পারিবেন ও কত পরিমাণে দেশের শ্রীবৃদ্ধি সাধন করিবেন, তাহা জগদীশ্বরই জানেন; কারণ তাঁহাদিগের মধ্যে প্রায় অনেকেই মানস-প্রফুল্লকর দুই একখানি