পাতা:হিন্দু মহিলাগণের হীনাবস্থা - কৈলাসবাসিনী দেবী.pdf/৭৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
হিন্দু মহিলাগণের হীনাবস্থা।
৬৫

কের নিগুঢ় কারণ আমরা একাল পর্য্যন্ত জ্ঞাত হইতে পারি নাই এবং এবিষয়ে প্রত্যেক ব্যক্তির মত ভিন্ন ভিন্ন দেখিতে পাওয়া যায়। কেহ কেহ বলেন, নারীগণ বিদ্যা শিখিলে বিধবা হয়। কেহ বলেন, ইহারা বিদ্যা রসাস্বাদনে প্রবৃত্ত হইলে আর সাংসারিক কার্য্যে হস্তক্ষেপ করিবে না। কোন কোন মহাত্মারা বলেন, স্ত্রীগণ বিদ্যা শিক্ষা করিলে তাহাদিগের চিত্ত চঞ্চল হইবে, আর সেই চাপল্য হেতু তাহারা স্বীয় স্বামীকে উপেক্ষা করিয়া স্বাধীন হইতে চেষ্টা করিবে, এবং মনোমত ব্যক্তিকে পত্র দ্বারা আমন্ত্রণ করত উপপতিত্বে বরণ করিবে। কেহ বলেন, ইহারা বিদ্যাভ্যাস করিলে বুদ্ধিবল প্রাপ্ত হইয়া পুরুষবং ব্যবহার করিতে প্রবৃত্ত হইবে, তাহাতে আমাদিগের মান সম্ভ্রম একেবারে খর্ব্ব হইবে। হায়! বিদ্যা শিখিলে বিধবা হইবে? বিদ্যার কি পতিঘাতিনী শক্তি আছে, যে তদ্দ্বারা নারীগণ পতিরত্নে বঞ্চিতা হইবে? আহা! এই বাক্যটী যে কি প্রকারে কোথা হইতে উৎপন্ন হইল, তাহা জগদীশ্বরই জানেন। বোধ হয় ভাস্করাচার্য্য-দুহিতা লীলাবতীকে উল্লেখ করিয়াই লোকে এই কথা রটনা করিয়া থাকিবে। সে যাহা হউক, এক্ষণে বক্তব্য এই, নারীগণ বিদ্যাভ্যাস করিলে যে দ্বিচারিণী হইবে ও সাংসারিক কার্য্যে উপেক্ষা করিবে তাহার প্রমাণ কি? বিদ্যা কি নিকৃষ্ট পদার্থ যে তৎ সংস্পর্শে নারীগণ নিকৃষ্টমার্গে পদার্পণ করিবে? আর গৃহ কর্ম্মেই বা তাহারা উপেক্ষা করিবে কেন? বিদ্যা শিখিয়া কি তাহাদিগের স্বামী পুত্র প্রভৃতি আত্মীয় বর্গের প্রতি স্নেহ ভাবের অভাব হইবে? আর তাহাদের স্বাধীনতাই