পাতা:হিন্দু মহিলাগণের হীনাবস্থা - কৈলাসবাসিনী দেবী.pdf/৭৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
হিন্দু মহিলাগণের হীনাবস্থা।
৬৭

অবলাগণ সবলা হইয়া কখনই স্বাধীনতা অবলম্বন করিতে পারিবে না। বিদ্যা শিখিলে ও স্বেচ্ছামত সর্ব্বত্র গমনাগমন করিলে যদ্যপি স্বাধীনতা প্রাপ্ত হইত, তবে এত দিনে ইউরোপীয় মহিলাগণ অবশ্যই রাজকীয় কোন প্রধান পদে অভিষিক্ত হইয়া স্বদেশের গৌরব বৃদ্ধি করিত। অতএব নারীগণ কোন কালেই স্বাধীনতা প্রাপ্ত হইবে না। নারীগণ আশ্রয় ব্যতিরেকে কখনই শোভা পায় না। নিরাশ্রয়া নারীর কোন স্থানেই সমাদর নাই। অতএব যদি স্বাধীনতাই না হইল, তবে নারীগণের সর্ব্বত্র গতায়াতের আর সম্ভাবনা কি রহিল, যে তাহারা স্বেচ্ছামত সর্বত্র গমনাগমন করিতে ইচ্ছা করিবে।

 কিন্তু আধুনিক নব্য সম্প্রদায়ী মহোদয়গণের মধ্যে অনেকেই বলিয়া থাকেন, যে অস্মদ্দেশীয় কামিনীগণ অন্যান্য দেশীয় ভামিনীগণের ন্যায় সর্বত্র গতায়াত করিতে না পারিলে, কখনই দেশের শ্রীবৃদ্ধি সাধন হইবে না। সে কথা যথার্থ বটে, কিন্তু তাঁহারা কি প্রকারে তাহাদিগকে বাহির করিতে ইচ্ছা করেন, তাহা তাঁহারাই জানেন, যেহেতু অস্মদ্দেশীয় অঙ্গনাকুল অঙ্গনাতিক্রম করিয়া বহির্দ্দেশে পদার্পণ করিলেই কুল-মান-ভ্রষ্ট হয়, ও সর্ব্ব সন্নিধানে নিন্দাভাজন হয়, সে স্থলে সমাজাদিতে গমন করিতে তাহারা সহসা বাধ্য হইবে কেন? আর নারীগণকে কি প্রকার সজ্জায় সজ্জিত করিয়া বাহির করিতে ইচ্ছা করেন। অস্মদ্দেশীয় নারীগণ যেরূপ বস্ত্রালঙ্কার ব্যবহার করেন, তদবস্থায় তাহাদিগকে সমাজাদিতে লইয়া গেলে, সভার শোভা আরও শত গুণে বৃদ্ধি হয়। কারণ বিদ্যাধরী বেশধারিণী ঐ