পাতা:হিমাদ্রি-কুসুম - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/১৪৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সৌন্দৰ্য্য। A MOA তুহিন-শিখরে যথা সুমণ্ডিত করে, দেখিানু, সে শোভা যেন সে মুখ-ভিতরে । ভিতর হইতে আলো আসিছে ফাটিয়া, তদুপারে অশ্রুজােল যায় গড়াইয়া । ভাবাবেশে প্রস্ফুরিত, পুণ্যে বিকশিত, আলোক-মণ্ডলে মুখ দেখি নু মণ্ডিত ! গভীর অস্ফুট সুখ জাগিছে পরাণে । পড়িয়া তাহারি আভা সে পবিত্ৰ ধ্যানে, কি এক অপূৰ্ব্ব জ্যোতি করিছে বিস্তার, সম্রামে বিস্ময়ে চিত্ত ডুবিল আমার ! এই কি অধ্যাত্ম-যোগ, ভাবি মনে মনে, সে সত্য-পুরুষে জীব ধরিলে পরাণে, এমনি কি প্ৰাণ-পদ্ম হয় প্রস্ফুটন্ত ! স্বগীয় জ্যোতিতে মুখ এমনি রঞ্জিত । দেখি নু আচ্ছন্ন হ’য়ে, ভাবিনু এ কান্তে বসেছেন ধ্যানে আসি এই বন-প্ৰান্তে, অনুচিত থাকা হেথা ; আসি নু সরিয়া ; ধ্যানাস্তে আসিলে ফিরে, বিনয় করিয়া চাহিনু থাকিতে সঙ্গে, পাই অনুমতি ; তদবধি থাকি সঙ্গে ; দেখি মোর প্রতি কি অপূৰ্ব্ব ভালবাসা ! থাকি তঁর সনে জ্ঞানের পিপাসা মোর নিত্য বাড়ে মনে । পড়িলাম কত শাস্ত্র ; এদিকে আবার হৃদয়ের প্রতি দৃষ্টি সদা দেখি তঁর ।