হবে, বিস্তর বাজী পুড়বে, এখানে আসবার সময় দেখলেম ওপাড়ার রামবাবুব চৌঘুড়ি গ্যাল। শম্ভুবাবু বগীতে লক্ষ্মীকে নিয়ে যাচ্চেন—আজ্ বেজায় ভীড়। মশাই যাবেন না? তখনি ভবানীবাবু এই প্রস্তাবের পোষকতা করেন— বাবু ও ও রাজী হলেন—অমনি “ওরে! ওরে। কোন্ হ্যায় রে! কোন্ হ্যায়।” শব্দ পড়ে গ্যাল; আসে পাশে “খোদাবন্ধ” ও “আজ্ঞা যাইয়ে” প্রতিধ্বনি হতে লাগ্লো—হরকরাকে হুকুম হলো বড় ব্রিজ্কা ও বিলাতি জুড়ি তইরি কত্তে বল। শীগ্গির।
ঠাওরাণ্, য্যান এ দিকে বাবুর ব্রীজ্কা প্রস্তুত হতে লাগ্লো, পেয়ারের আবদালীরা পাগ্ড়ী ও তক্মা পরে আয়নায় মুখ দেখচে। বাবু ড্রেসিংরুমে ঢুকে পোসাক্ পচ্চেন চার পাঁচ জন চাকরে পড়ে চাল্লীশ রকম প্যাটনের ট্যাসল দেওযা টুপি ও সাটীনের চাপকান পায়জামা বাছুনি কচ্চে। কোন্টা পল্লে বড় ভাল দ্যাখাবে বাবু মনে মনে এই ভাব্তে ভাব্তে ক্লান্ত হচ্চেন, হয় ত অ্যাকটা জামা পরে আবার খুলে ফেল্লেন। অ্যাকটা টুপি মাথায় দিয়ে আয়নায় মুখ দেখে মনে ধচ্চে না; আবার আর একটা মাথায় দেওয়া হচ্চে, সেটাও বড় ভাল মানাচ্চে না এই অবকাশে অ্যাক্জন মোসাহেবকে জিজ্ঞাসা কচ্চেন, ক্যামন হে এটা কি মাথায় দেবো? মোসাহেব সব দিক্ বজায় রেখে “আজ্ঞা পোসাক্ পল্লে আপনাকে জ্যামন খোলে সহরের কোন শালাকে অ্যামন খোলে না” বল্চেন, বাবু এই অবসরে আর অ্যাক্টা টুপি মাথায় দিয়ে জিজ্ঞাসা কচ্চেন,“এটা ক্যামন? মোসাহেব