পাতা:হেক্‌টর বধ - মাইকেল মধুসূদন দত্ত.pdf/৯২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৮৬
হেক্‌টর বধ।

হইতে যে আমি কি প্রকারে নিষ্কৃতি পাই, এই সম্পর্কে তোমার পরামর্শাভিলাষে এরূপ স্থানে আসিয়াছি। আমি দুর্ভাবনায় একবারে যেন জীবন্মৃত ও হতজ্ঞান। হে তাত! দেখ, রণদুর্ব্বার হেক্‌টর স্ববলে আমাদের শিবির দ্বারে থানা দিয়া রহিয়াছে। কে জানে, তাহার কৌশলে অদ্য নিশাকালে আমার কি অনিষ্ট ঘটে। বিজ্ঞবর সস্নেহ বচনে কহিলেন বৎস! আগেমেম্‌নন্‌! আমার বিবেচনায় ত্রিদশাধিপতি হেক্‌টরকে এতদূর আমাদের অপকার করিতে দিবেন না। কিন্তু চল, আমরা উভয়ে অন্যান্য নেতৃবৃন্দের সহিত এ বিষয়ের পরামর্শ করিগে। আমরা যে বিষয়, বিপজ্জালে বেষ্টিত, তাহার কোনই সন্দেহ নাই। এই কহিয়া বৃদ্ধবর আস্তে ব্যস্তে রণশস্ত্র ধারণ করিয়া রাজচক্রবর্ত্তীর সহিত দেবোপম জ্ঞানী আদিস্যুসের শিবিরে গমন করিলেন। আদিস্যুস্‌ অতিশীঘ্র বীরদ্বয়ের আহ্বানে শিবিরের বহির্গত হইলেন। পরে তিন জনে একত্রে রণদুর্ম্মদ দ্যোমিদের শিবির সন্নিকটে দেখিলেন যে, বীরকেশরী রণসজ্জায় নিদ্রা যাইতেছেন। তাহার চতুষ্পার্শ্বে শূলীদলের চ্যুত শূলাগ্র বিদ্যুতের ন্যায় চক্‌মক্‌ করিতেছে! প্রাচীন রণসিংহ পদস্পর্শনে সুপ্ত রথীর নিদ্রাভঙ্গ করিয়া কহিলেন, হে দ্যোমিদ্‌! এ কাল নিশাকালে কি তোমার সাদৃশ বীরপুরুষের এরূপ শয়ন উচিত। রণবিশারদ দ্যোমিদ্‌ চকিত হইয়া গাত্রোত্থান করিয়া কহিলেন, হে বৃদ্ধ! তোমার সদৃশ ক্লান্তি শূন্য জন কি আর আছে! এ সৈন্যে কি কোন যুবক পুরুষ