পাতা:হেমপ্রভা.pdf/৩৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

\$ ఈ হেমপ্রভ । বিল্লাল্লতা, স্বামি সেবায় নিযুক্ত থাকিয়া ভাবিতে লাগিলেন, আমার স্বামী ও পিতা উভয়েই প্রচুর পনস্বামী বটেন ; অতএব স্বামীর ঈদৃশী দরিদ্রাবস্থায় শ্বশুরালয়ে যাওয়া কোনমতেই সম্ভব বোধ হইতেছে না। যে একথানি রথ সঙ্গে আনিয়াছিলেন, তাহাও বিদায় দিলেন । প্রভৃতি মামিত পত্রালয়ে আরও গমনাগমন করিয়াছি; কিন্তু এতাদৃশ কষ্টগম্য পথ তো আর কখনও নয়নগোচর ক্রয় নাই । বিশেষতঃ, যাত্রাকালাবধি তাহার মুথারবিন্দ যেন ক্রমশঃ শুষ্ক হইয়া যাইতেছে ; শ্বশুরালয়ে যাইতে হইলে এত স্নান হওয়ার বিষয় কি?Mর্তবে মনে এই লইতেছে, আমি যে শব হইতে মণি লষ্টয়া গুহে যাইতেছিলাম, তখন শ্বশুর মহাশয় আমাকে দেখিয়াছিলেন ; রোপ হয়, তাহাতেই তিনি আমাকে ছুশ্চরিত্র জ্ঞান করিয়া বনবাস পাঠাইয়া দিলেন । অধিকন্তু দে থা যাইতেছে, স্বামী যেন আমাকে কিৰূপে বনবাসৰূপ দণ্ডবিপণন করিলেন, কেবল তাহার চেষ্টাতেই নানা ব্যপদেশ করিতেছেন। ইহা ভাবিতে স্নানমুখী হুইয়া জ্ঞা বিধ তঃ ! তুমি কি আমার ললাটে এই লিপি করিয়াছিলে। ইহা কহিয়া ক্রমদন করিতে লাগিলেন । * বিদ্যুল্লত এইৰূপ খেদ বিকাশ করত অশ্রুনীরে দক্ষঃস্থল অভিষিক্ত করিতেছেন ; এমন সময় শুনিতে পাইলেন ঐ বৃহদরণ্যের কোন অংশে এক বায়সূ বলিতেছে “যদি নিকটে কোন পতিপরায়ণী সতী স্ত্রী থাক, তবে এইযে কৃষ্ঠসৰ্প-শিরে দুই মণি আছে আসিয়া ইহা গ্রহণ কর” ।