পাতা:হেমোপাখ্যান.pdf/৩৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

২৬ হেমোপাখ্যান । অস্ফুটভাবে সৃষ্ট ছইল, তথাপি বুঝিতে পারিলেন মা ৰে কাদম্বিলীর পরলোক ঘটিয়াছে। যাছা হউক, তিনি কাজশ্বিনীর অচেতন অবস্থা অবলোকন করিয়া দুঃখিত মলে বিলাপ করিতে লাগিলেন, ভদ্রে ! তোমার কি মিস্ত্রীকর্ষণ হইল অথবা কোন ভয়ানক জন্তু দেখিয়া কি আতঙ্ক পাইয়ছ ? কিম্বা কোন উপদেবতাকে নিরীক্ষণ করিয় ভয়ে নিশ্চেষ্ট রহিয়াছ ? অনস্ময়ে ! তুমি কি অসুখে ধূলায় শয়ন করিলে ? অার কি জন্যই বা তোমার কলেবর অবসন্ন হুইল ? কি হইল ? একধীর অপমাকে উত্তর দেও এ পরিহাস করি- । বার সময় নহে ত্বরায় গাত্রোধান কর, তোমার জন্য বন্ধু লিশ্চয়ই জাগরণ করিয়া বসিয়া অাছে শীঘ্র তাছার নিকট চল অণর বিলম্ব করিও না, না যাইলে উপকারীকে বন্ধুহত্যার পাতকী করা হইবে ; তুমি কি আমাকে কাপুৰুষ বিবেচনা করিয়াছ আহাতেই আমার বাক্যের উত্তর দিতে আপনাকে লজ্জিত বোধ করিতেছ ? অথবা নলিনীনাথ পাছে তোমার বদন-সৌন্দৰ্য সন্দর্শনে কমলিনীকে পরিত্যাগ করিয়া তোমার মুখকমলে করপর্ণ করে এই ভয়েই বুঝি নিজবদন মলিন করিয়া রাখিয়াছ ? যাহা হউক তোমার মুস্থ শরীরের বৈপ্লক্ষণ দেখিয়া আমার চিত্তের চাঞ্চল ক্রমশঃ বৰ্দ্ধিত হইয়া উঠিভেছে, হেমলতা অপেক্ষ কোমল সুন্দর তোমার অঙ্গযষ্টি ধূলায় ধূসরিত দেখিয়া আমার নেত্রদ্বয় বিষাদজনে পরিপূর্ণ হইল, এবং মধুর বাক্য লা শুলিয়া আমার শ্রবণেন্দ্রিয় পরিতাপিত হইতেছে ভঙ্গে ! ভুমি ক্ষুন্নারৰিন্দময়ন কি মিমিত্ত মুদিত করিয়া হিয়াছ ?