১৫১৩ সাল।
১১
“কেন, হর্শে।”
আমার মনে একটা খট্কা উপস্থিত হইল।
“সে কি করে তোমায় জানাইল?”
“কেন সে কাল ৭টার গাড়ীতে কাশী পৌঁছায়। আমি সবে শুতে যাচ্ছি, এমন সময় সে উপস্থিত হয়ে তোর কীর্ত্তি কাহিনী বল্লে। আমার মন খারাপ হ’ল, তাই রাত্রের গাড়ীতে চলে এলেম। এখন ব্যাপারখানা খু’লে বল ত?”
আমি ধীরে ধীরে সকল কথা বুঝাইয়া বলিলাম। শুনিয়া তিনি বলিলেন:—
“তা হ’লে হর্শের কথা মিথ্যা নয়। তুই কি ছেলেপিলেদের ভাসিয়ে দিবি, আর আমায় শেষকালে ভিক্ষাবৃত্তি অবলম্বন করাবি?”
আমি তাঁহাকে কোন মতে বুঝাইতে পারিলাম না। অবশেষে তিনি বিরক্ত হইয়া বলিলেন:—
“যা ভাল বুঝ কর। কিন্তু দেখো, আমাদের পথের ভিখারী ক’রো না। তুমি ছেলেমানুষ নও। তোমায় অধিক আর কি বুঝাব, একখানা গাড়ী ডেকে দেও, আমি এখনই কাশী যাব।”
থাকিবার জন্য অনেক অনুরোধ করিলাম। তিনি শুনিলেন না। অগত্যা তাঁহাকে ষ্টেশনে পৌঁছিয়া দিলাম।
মন কিন্তু বড়ই খারাপ হইল। বাড়ী না ফিরিয়া বন্ধুবরের গৃহে গেলাম। আমায় দেখিয়া তিনি বলিলেন:—
“তুমি আসিয়াছ ভালই হইয়াছে। তাহা না হইলে আমি নিজেই তোমার ওখানে যাইবার জন্য প্রস্তুত হইতেছিলাম। ব্যাপার কিছু গুরুতর দাঁড়াইয়াছে। কথাটা প্রকাশ হইল কিরূপে তাহা বুঝিতেছি না।”
আমি জিজ্ঞাসা করিলাম:—