১৫১৩ সাল।
১৩
একটা বাজে চাবি দিয়া বাক্স খুলিয়া ফেলিলাম। দেখিলাম উহার ভিতর বিশেষ কিছুই নাই, মাত্র দুইটা জামা, চারিখানা কাপড়, তিনখানা চাদর ও একখানা বই। কৌতূহলবশতঃ বহিখানা লইয়া দেখি, উহা সেক্সপিয়ারের মারচেন্ট্ অফ্ ভেনিসের বঙ্গানুবাদ। উহার পাতা উল্টাইতে উল্টাইতে একখানা ১০০৲ টাকার চেক্ দেখিলাম। উহা হিন্দু ব্যাঙ্কের উপর হরিশের নামে কাটা হইয়াছে। তারিখ কল্যকার। চেকখানা বন্ধুবরকে দেখাইয়া বলিলাম:—
“কিছু বুঝিতে পারিতেছ কি?”
“না, ব্যাপার কি?”
“যাহা সন্দেহ করিয়াছিলাম নিশ্চয় তাহাই ঘটিয়াছে। এ চেকের সাক্ষরটা পড় দেখি।”
“রামদাস ঘোষ।”
“ইহাকে চেন?”
একটু চিন্তা করিয়া বন্ধুবর বলিলেন:—
“আমার এনামে পরিচিত কেহ নাই।”
“প্রভাতী’র সম্পাদকের নাম কি?”
“রামদাস ঘোষ।”
“তাঁহাকে চেন?”
“বিলক্ষণ।”
চেকের সাদা পৃষ্ঠা উল্টাইয়া বলিলাম, “দেখ কি লেখা আছে।”
“হাঁ, তাইত। এ যে “প্রভাতী” সম্পাদকের চেক্। হরিশ এমন কি কাজ করিয়াছে যাহার জন্য তিনি ধাঁ করিয়া ১০০৲ টাকার চেক্ দিয়াছেন।”
“কারণ আছে। টাকায় সব হয়। টাকায় আপন পর হয়, পর আপন হয়। টাকা থাকিলে তুমি আমি যাহা ইচ্ছা তাহাই করিতে