বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:১৫১৩ সাল.pdf/৪৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটিকে বৈধকরণ করা হয়েছে। পাতাটিতে কোনো প্রকার ভুল পেলে তা ঠিক করুন বা জানান।
৩২
১৫১৩ সাল।

গভর্ণমেণ্টের নিকট একচেটিয়া ব্যবসায়ের অনুমতি প্রার্থনা করিবেন।”

 “আচ্ছা, হাসানজীদের কে ভাঙ্‌চি দিয়াছে শুনিয়াছ?”

 “হাঁ। সম্পাদক মহাশয়ের প্ররোচনায়, বল মহাশয় উহাদিগকে এক পত্র লেখেন। তাহার মর্ম্ম এই যে, তিনি Sea Gold Syndicate এর একজন ডাইরেক্টর। কিন্তু অধুনা স্থাপয়িতাদিগের কার্য্যের উপর সন্দেহ হওয়ায়, তিনি শীঘ্রই নিজের পদত্যাগ করিবেন এবং আপনাদের কার্য্যের জন্য তিনি দায়ী হইবেন না।”

 বন্ধুবর বলিলেন:—

 “তাহা হইলেই সকল কথা বুঝা গেল। এই ভাঙ্‌চির পর হইতে হাসানজী কোম্পানীর সন্দেহ উপস্থিত হইয়াছে। তাই তাহারা ঐরূপ পত্র আমাদের লিখিয়াছে। তাহদের কোন দোষ নাই। ওঃ! আমাদের অনিষ্ট করিবার জন্য সম্পাদক প্রবর কত ক্লেশই না স্বীকার করিতেছেন। ধন্য শিক্ষা! ধন্য দীক্ষা!!”

 হরিশ বলিল:—“আমার বক্তব্য এখনও শেষ হয় নাই। নক্সাদি যে চুরি করিয়াছিল তাহাকে ধরিয়াছি।”

 আমরা উভয়ই আশ্চর্য্য হইয়া জিজ্ঞাসা করিলাম, “বল কি! চোর এই বাটীতেই আছে?”

 হরিশ বলিল, “অনুমতি করিলে তাহাকে এক্ষণেই উপস্থিত করিতে পারি।”

 আমরা অনুমতি দিলে, পাঁচমিনিট মধ্যে বন্ধুবরের এক বৃদ্ধা ঝিকে সঙ্গে লইয়া হরিশ আসিল এবং তাহাকে দেখাইয়া বলিল—“এই চোর।”

 “এই?” বন্ধুবর চীৎকার করিয়া জিজ্ঞাসা করিলেন। “হাঁরে, তোর এমন মতিগতি কেন হইল?”

 ঝি ন্যাকাভাবে বলিল, “কি বাবু, আমিত কিছুই জানি না”।

 হরিশ ব্যঙ্গভাবে বলিল:—“কি ভাল মানুষগো! সত্য করিয়া বল্ তুই বাবুর কয়েকখানা দরকারী কাগজ মাঝে চুরি করিয়াছিলি কি না?”