বল মহাশয় ব্যঙ্গভাবে বলিলেন:—
“লোকটার রকম দেখুন! বলি, এ রকম জুয়াচুরী কবে হইতে অভ্যাস হইয়াছে?”
সম্পাদক মহাশয়ের মুখ লাল হইয়া উঠিল। তিনি বলমহাশয়কে প্রহার দিবার জন্য আস্তিন্ গুটাইলেন। আমরা পড়িয়া উভয়কেই সরাইয়া দিলাম এবং সম্পাদক মহাশয়কে আর কেলেঙ্কারি না বাড়াইয়া চলিয়া যাইবার জন্য অনুরোধ করিলাম।
যাইবার পূর্ব্বে তিনি বলমহাশয়কে সম্বোধন করিয়া বলিলেন:—
“দেখ্, বল্। তুই ভীমরুলের চাকে পা দিয়াছিস্। ফলে তোর বিপদ অবশ্যম্ভাবী। তুই মনে করিস্ না যে তোর জুয়াচুরী ধরা পড়িবার জো নাই। আমার মন্দ চেষ্টা করেছিস্। না হয় কিছু টাকা লোকসান্ যা’বে। কিন্তু তোর সেই পত্র যা হাসানজীদের লিখেছিলি—বিস্তারিত খুলে বল্বনা—তা’ আমার কাছে এখনও আছে। দশ বৎসর দ্বীপান্তর, জানিস্। আমি তোকে সহজে ছাড়্বো না।”
তিনি চলিয়া গেলে পর বলমহাশয় আমাদিগকে বলিলেন:—
“লোকটা অতি নীচপ্রকৃতির। আমি উহার ভয়কে থোড়াই কেয়ার করি।”
এই গোলযোগে কার্য্য কিছুই হইল না। সর্ব্বসম্মতিক্রমে এক সপ্তাহের জন্য সভা স্থগিত থাকিল। একে একে সকলেই প্রায় চলিয়া গেলেন। রহিলাম মাত্র অমি, বন্ধুবর ও বলমহাশয়।
বলমহাশয়কে আমি শীঘ্রই গভীরস্বরে প্রশ্ন করিলাম:—
“আপনার এ কেলেঙ্কারি করিবার কি প্রয়োজন ছিল?”
তিনি চিৎকার করিয়া জিজ্ঞাসা করিলেন:—
“কি? কি বলেন? কেলেঙ্কারি?”
ঘৃণার সহিত তাঁহার দিকে চাহিয়া আমি বলিলাম:—