তাহার কারণ দর্শাইবার জন্য এক রুল লইয়াছেন। তিনি ক্ষতিপূরণ স্বরূপ দশলক্ষ টাকাও চাহিয়াছেন।
কর্ম্মচারীদ্বয় চলিরা গেলে পর বন্ধুবর উপস্থিত সকলকে সম্বোধন করিয়া বলিলেন:—
“বন্ধুগণ, আপনারা কেহ উদ্বিগ্ন হইবেন না। আমাদের অনিষ্ট করিবার জন্য সম্পাদক-প্রবর আর এক খেলা খেলিয়াছেন। ফলে তাঁহার হার নিশ্চিত। তবে আমাদের কার্য্যারম্ভের কিছু বিলম্ব হইবে এই যা। সম্পাদকের এই কার্য্যের ভিতর এক গুঢ় রহস্য নিহিত আছে। তাহা এখন প্রকাশ করিব না। আপনারা আমার উপর যেমন বিশ্বাস স্থাপন করিয়া আসিতেছেন, তাহাতে আমি বড়ই বাধিত আছি। আপনারা নিশ্চিন্ত থাকুন, আমাদের কেহ কোন অনিষ্ট করিতে পারিবে না।”
আমার প্রস্তাবে বন্ধুবরের প্রতি একবাক্যে এক বিশ্বাসসূচক ভোট পাশ করা হইল। তৎপরে আমরা এই স্থির করিলাম যে “পরীক্ষা” আপাততঃ বন্ধ থাকুক। হাসানজী কোম্পানীর ইহাতে কোন আপত্তি না থাকায় যথারীতি ধন্যবাদাদির পর সভা ভঙ্গ হইল।
অষ্টম পরিচ্ছেদ।
আমরা বুঝিয়াছিলাম যে সম্পাদকপ্রবর আমাদিগকে সহজে ছাড়িবেন না। আমরাও যে প্রস্তুত ছিলাম না তাহাও নহে। তবে শিক্ষিত লোক পদে পদে লাঞ্ছিত হইয়াও যে তাহার দুরভিসন্ধি পূর্ণ করিবার চেষ্টা ছাড়িতে পারে নাই ইহাতে বড়ই আশ্চর্য্য বোধ করিলাম। যাহা-