৪৪
১৫১৩ সাল।
সহসা আমার মনে কেমন একটা সন্দেহ উপস্থিত হইল। তাহাকে আমি জিজ্ঞাসা করিলাম:—
“তোমার নাম কি?”
“আজ্ঞে, সুন্দর লাল।”
নাম চেহারার অনুরূপ বটে।
“তুমি আর কোথাও কি পূর্ব্বে কর্ম্ম করিয়াছ?”
“আজ্ঞে না।”
“তবে তুমি কি করিয়া এখানে কার্য্য করিবে?”
“আমি বড় গরীব। আপনাদের উপর ভরসা। আমাকে শিখাইয়া লইলেই সকল কর্ম্ম করিতে পারিব।”
তোমার রেজেষ্টারী সার্টিফিকেট্ আছে?”
“সে কি?”
তাহাকে আইন বুঝাইয়া দিলাম। সে যেন একটু চিন্তিত হইয়া পড়িল ও পরে বলিল:—
“তা এখানে কয়েকদিন কার্য্য করিলে আপনি দয়া করিয়া আমার নাম রেজেষ্টারী করাইয়া দিবেন। আপনি আমার মা বাপ। আমার এ সংসারে আর কেহ নাই। আমায় নিরাশ করিবেন না।”
দেখিলাম যুবক চতুর ও বুদ্ধিমান বটে। যাহা হউক অপর এক তৃত্যকে ডাকিয়া উহাকে কাজকর্ম্ম শিখাইয়া দিতে বলিলাম। সেইদিন সন্ধ্যার সময় বন্ধুবর কোন কার্য্যোপলক্ষে আমার বাটী আসিলেন। দুই একটী কথাবার্ত্তার পর আমার হস্তে এক টেলিগ্রাম দিয়া বলিলেন:—
“পড়”।
দেখি তাহাতে একটীমাত্র কথা লেখা:—
“সাবধান।” প্রেরকের নাম নাই। স্থানটা দেখিলাম হাওড়া।