১৫১৩ সাল।
৪৫
বন্ধুবর জিজ্ঞাসা করিলেন:—
“কিছু বুঝিলে কি?”
“কিছু কিছু। আমাদের অনিষ্টের জন্য সম্পাদক-প্রবর কোন নূতন ফন্দি স্থির করিতেছেন বা করিয়াছেন। তাহাই কোন অজ্ঞাতনামা বন্ধু জানিতে পারিয়া টেলিগ্রাম দ্বারা আমাদিগকে সাবধান করিয়া দিয়াছেন।”
“হাঁ। আমারও তাহাই বিশ্বাস। সন্দেহের একটু কারণও আছে। হরিশ প্রত্যহই, কোন নূতন সংবাদ থাক আর নাই থাক, আমার সহিত সাক্ষাৎ করিতে আইসে। আজ চারিদিন হইল একেবারেই তাহার দেখা নাই। আমি গুপ্ত সন্ধান লইয়া জানিয়াছি যে সে সম্পাদক-প্রবরের বাটীতে নাই। কোন কার্য্যের জন্য তাহাকে বিদেশে যাইতে হইয়াছে।”
“কথা ভাল বোধ হইতেছে না। কেন না, যদি কোন কার্য্যের জন্য তাহাকে পাঠান হইয়া থাকে, তাহা হইলে সে আমাদের সহিত সাক্ষাৎ না করিয়া যাহত না। মনের অগোচার পাপ নাই। আমার বিশ্বাস সম্পাদক উহার উপর সন্দেহ করিয়া কোথাও তাহাকে বন্দী করিয়া রাখিয়াছে।”
“আমারও এখন এই সন্দেহ হইতেছে। আমাদের আর নিশ্চিন্ত থাকা উচিত নহে। হরিশ কোথায় আছে সন্ধান লইতে হইবেই হইবে। ইহার ভিতর একটা কিছু রহস্য জাছে।”
“নিশ্চয়ই।”
এমন সময় সুন্দরলাল নিঃশব্দে গৃহে প্রবেশ করিল এবং কয়েকখানা সংবাদপত্র টেবিলের উপর রাখিয়া দিল। তাহাকে দেখিয়াই বন্ধুবর জিজ্ঞাসা করিলেন:—
“এ কে?”