“আমার নূতন ভৃত্য।”
“উহাকে কোথায় দেখিয়াছি বলিয়া বোধ হইতেছে?”
সুন্দরলাল বলিয়া উঠিল:—
“আজ্ঞে, সুধাময় বাবুর বাটীতে। আমিও আপনাকে সেখানে অনেকবার দেখিয়াছি।”
বন্ধুবর মস্তক সঞ্চালন করিয়া বলিলেন:—
“না, অন্য কোন স্থানে। মনে হয়—হাঁ—ঠিক—তুমি কি “প্রভাতী” প্রেসের একজন কম্পোজিটর ছিলে না? আমার মনে হইতেছে তোমায় সেখানে দেখিয়াছি।”
“আজ্ঞা, যদি প্রেসের কর্ম্ম জানিব তবে এখানে ভৃত্যের কার্য্য করিব কেন? আপনি বোধ হয় আমার চেহারার মত অন্য কাহাকে দেখিয়াছেন।”
“তাহা হইতে পারে,” বলিয়া বন্ধুবর আমার সহিত অন্য কথায় প্রবৃত্ত হইলেন। সুন্দলাল তৎক্ষণাৎ চলিয়া গেল।
নবম পরিচ্ছেদ।
এই ঘটনার দুই চারিদিন পরে আমরা সকলে বোম্বায়ে যাত্রা করিলাম। বন্ধুবর আর একবার জাহাজ ভাল করিয়া পরীক্ষা করিয়া দেখিলেন ও উপস্থিত সকল অংশীদারগণকে দেখাইয়া দিলেন যে তাঁহার নক্সার অনুযায়ী উহা প্রস্তুত হইয়াছে। কিন্তু উহার নামকরণ উপলক্ষে বেশ একটু ঝড় বহিয়া গেল। কাহারও মতে “Fortunatus” নাম রাখা উচিত বিবেচিত হইল। কেহ বলিলেন বন্ধুবরের নামানুসারে উহার নাম-