আইন অনুযায়ী আমরা এখনও সরকারী সীমানার মধ্যে আছি। তাহার প্রমাণ দিতেছি।”
এই বলিয়া তিনি বোম্বাই হাইকোর্টের ল রিপোর্টের একখণ্ড আনিয়া তাহাতে দুইটা কেস্ দেখাইলেন। বুঝিলাম আমার প্রস্তাৰ মত কার্য্য করিতে গেলে আইন লঙ্ঘন করা হইবে। অর্থাৎ আমরা ভারত-মহাসাগরের গর্ভে স্থিত ও কোনও শক্তি-কর্ত্তৃক অনধিকৃত যে জনশূন্য দ্বীপের নিকট আমাদের কার্য্যস্থল অতি সংগোপনে—এমন কি অংশীদারগণের অজ্ঞাতসারে—স্থির করিয়াছিলাম, তথায় উপস্থিত হইবার পর রীতিমত কার্য্য করিতে সক্ষম হইব।
আমি জিজ্ঞাসা করিলামঃ—
“তবে তুমি একথা পূর্ব্বে বল নাই কেন? অদ্য হইতেই ত’ কার্য্যারম্ভের কথা?”
“হাঁ। আমার ভুল হইয়াছে বটে। অদ্য প্রাতে হঠাৎ এই কথা মনে উদয় হয়। তখন ল রিপোর্টখানি দেখি। যাহা হউক, দুই এক দিনের বিলম্বে কিছুই আসিয়া যাইবে না। অংশীদার মহাশয়দিগকে বুঝাইয়া বলিলে তাঁহারা বিরক্ত হইবেন না নিশ্চয়ই। আর দুইদিন পরে আমরা কার্য্যস্থলে পৌঁছিব। তখন—”
এই সময়ে সুন্দরলাল আসিয়া বলিল যে তারহীন যন্ত্রের ঘণ্টা অনবরত বাজিতেছে। বন্ধুবর তৎক্ষণাৎ উঠিয়া গেলেন। একটু পরে বিরক্তভাবে আসিয়া বলিলেনঃ—
“একটা কাণ্ড দেখিবে এস।”
উক্ত যন্ত্রের নিকট লইয়া গিয়া তিনি আমায় বলিলেনঃ—
“দেখ, receiver এর অবস্থা।”
দেখি উহা ভাঙ্গা! কাজেই সংবাদ পাওয়া গেলনা।
আমি আশ্চর্য্য হইয়া জিজ্ঞাসা করিলামঃ—