পাতা:১৫১৩ সাল.pdf/৯২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটিকে বৈধকরণ করা হয়েছে। পাতাটিতে কোনো প্রকার ভুল পেলে তা ঠিক করুন বা জানান।
১৫১৩ সাল।
৭৭

তার মিথ্যা লোভে পড়িয়া আমাদিগের বিরুদ্ধে দাঁড়াইয়াছিস্। তোরা আমাদিগের কিছুই অনিষ্ট করিতে পারিবি না। যদি এক্ষণেই দোষ স্বীকার করিয়া ক্ষমা চাস্, ত ভালই; নচেৎ তোদের আর রক্ষা নাই। ভাবিবার জন্য দুই মিনিট সময় দিলাম।”

 এই বলিয়া তিনি ঘড়ি খুলিয়া ধরিলেন।

 তাহাদের ভিতর একটা গোলযোগ উপস্থিত হইল। তিন জন ব্যতীত অপর সকলেই অবিলম্বে বশ্যতা স্বীকার করিল! আমাদিগের ভয় দূর হইল। বন্ধুবরের হুকুম মত সেই তিন জনকে রজ্জু দ্বারা বাঁধিয়া একটা কেবিনে বন্দী করিয়া রাখা হইল। পরে থালাসীগণকে একত্র করিয়া তাহারা সুন্দরলালের প্ররোচনায় যে ভয়ানক অন্যায় কার্য্য করিায়াছে, তাহা বন্ধুবর তাহাদিগকে বুঝাইয়া দিলেন। তাহারা ঈশ্বরের নামে শপথ করিয়া বলিল যে আর কখনও বিদ্রোহী হইবে না।

 তাহার পর আমরা বারোজন উপযুক্ত ভাবে সজ্জিত হইয়া তীরে গেলাম। নিকটেই সুন্দরলাল ও তাহার বন্ধুগণ বসিয়াছিল। আমাদিগকে দেখিয়া তাহারা “মার” “মার” শব্দে আক্রমণ করিল। কিয়ৎক্ষণ যুদ্ধ চলিল। কিন্তু শীঘ্রই তাহারা পরাভূত ও একে একে ধৃত হইল। তাহাদিগকে বাঁধিয়া জাহাজে চালান দেওয়া গেল। আমরা দুইজনে তখন অনেকটা নিশ্চিন্ত হইলাম এবং তীরে বসিয়া শ্রা্ন্তিদূর করিতে লাগিলাম।


ষোড়শ পরিচ্ছেদ।

 শ্রা্ন্তিদূর হইলে পর বন্ধুবর বলিলেন:—

 “দেখ, রজনি, একটা বেশ কাণ্ড হইয়া গেল। আমাদিগের অবশ্য বিশেষ কিছু ক্ষতি হয় নাই; কিন্তু মন বড়ই খারাপ হইয়াছে। বোধ হইতেছে, যেন কোন অপরিহার্য্য বিপদ্ সম্মুখীন। তুমি হাসিয়া উড়াইয়া