পাতা:১৫১৩ সাল.pdf/৯৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটিকে বৈধকরণ করা হয়েছে। পাতাটিতে কোনো প্রকার ভুল পেলে তা ঠিক করুন বা জানান।
৮২
১৫১৩ সাল।

আসিতেছে। আমরা সমস্বরে একটা বিকট্ রব করিয়া উঠিলাম। তাহা পোতস্থ সকলেই শুনিতে পাইল এবং অনতিবিলম্বে এক জালিবোট পাঠাইয়া দিয়া আমাদিগকে উদ্ধার করিল।

 সেই পোতের কাপ্তেনের ও যাত্রীগণের প্রশ্নের উত্তরে আমরা বলিলাম যে, আমরা জলভ্রমণে বাহির হইয়াছিলাম; কিন্তু সহসা আমাদিগের জাহাজে এক বৃহৎ ছিদ্র হওয়ায় উহা ডুবিয়া গিয়াছে। নানা কারণে সত্য গোপন করা উচিত বিবেচনা করিয়া, এইরূপ একটা সম্ভবপর কথার অবতারণা করিলাম। সকলেই উহা বিশ্বাস করিল এবং আমাদিগের প্রতি তাঁহাদিগের সহানুভূতি জানাইল।

 যতক্ষণ পোতে ছিলাম, আমাদিগের যত্নের পরিসীমা ছিল না। যথাসময়ে জাহাজ কলিকাতায় পৌঁছিলে পর আমরা কাপ্তেন মহাশয়কে আমাদিগের আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জানাইয়া বিদায় গ্রহণ করিয়া স্ব স্ব গৃহে প্রত্যাবর্ত্তন করিলাম।


অষ্টাদশ পরিচ্ছেদ।

 গেল, এত সাধের “সোনার ভারত” গেল। কত আশা ছিল। কতই না মতলব করিয়াছিলাম। সবই ডুবিল। হা ভগবান্! তোমার ইচ্ছাই ত’ পূর্ণ হয়! তাহাই হউক।

 কলিকাতায় পৌঁছিবার দুই চার দিন পরে আমরা এক সভা আহ্বান করিলাম। সকল অংশীদারগণ উপস্থিত হইলেন। আমরা বিস্তারিত করিয়া সকল কথা তাহাদিগকে জ্ঞাপন করিলাম। হরিশ আমাদিগের কি মহৎ উপকার করিয়াছে, তাহাও বিশেষরূপে বুঝাইয়া বলিলাম। হরিশও সেখানে উপস্থিত ছিল। সকলের অনুরোধে সে তাহার কথা এইরূপভাবে বলিল:—

 “আমি বুঝিতে পারিয়াছিলাম যে ‘প্রভাতী’ সম্পাদক মহাশয় আমায়