[ ৯১ ]
বলিলেন, “তুমি পুলিশকে শাসনে রাখিতে পারিতেছ না।” কেম্প বলিলেন, “আমার কর্ত্তব্য কর্ম্ম আমি বেশ জানি।” একজন কনেষ্টবল আসিয়া মিঃ চৌধুরীর মাথায় লাঠি মারিয়াছিল। তাঁহার মাথায় টুপী না থাকিলে বোধ হয় তাঁহার মাথা ফাটিয়া যাইত। সে যাহা হউক, এমন সময়ে হঠাৎ সম্মুখে গভীর “বন্দে মাতরম্” ধ্বনি হইল। কেম্প তখন সুরেন্দ্র বাবুকে বন্দী করিয়া ম্যাজিষ্ট্রেটের বাটীতে গিয়াছিলেন। সুতরাং আসিষ্টাণ্ট সুপারিণ্টেণ্ডেণ্ট অশ্বে কশাঘাত করিয়া দ্রুতবেগে সেই দিকে ছুটিলেন। প্রকাণ্ড লাঠি উত্তোলন করিয়া পুলিশদল সেই দিকে দৌড়িল। তখন পশ্চাদ্দিক হইতে বন্দেমাতরর্ ধ্বনি হইল। ছোট প্রভু ও পুলিশ আবার পশ্চাদ্ধিকে দৌড়িয়া আসিলেন। তখন সম্মুখে বন্দেমাতরম্ ধ্বনি শুনিয়া আবার পুলিশ সেই দিকে ধাবিত হইল। পুলিশ এইরূপ একবার সম্মুখে, একবার পশ্চাদ্দিকে, ফুটবলের ন্যায় দৌড়াদৌড়ি করিতে লাগিল। সমস্ত প্রতিনিধি রাস্তায় বহির্গত হইয়া বন্দেমাতরম্ রবে নগর প্রতিধ্বনিত করিতে করিতে অগ্রসর হইতে লাগিলেন। ভাণ্ডার পত্রের অধ্যক্ষ বাবু কেদারনাথ দাস গুপ্ত রাস্তা দিয়া যাইতেছিলেন। ছোট সাহেব ঘোড়ার উপর হইতে তাঁহার পেটে পদাঘাত করিলেন। কেদার বাবু তাঁহরে ঘোড়া ধরিবার চেষ্টা করিলেন, কিন্তু ছোট বীর দ্রুতবেগে ঘোড়া ছুটাইয়া চলিয়া গেলেন। সকলের পশ্চাতে বাবু আনন্দচন্দ্র রায়, বাবু অনাথবন্ধু গুহ ও মিঃ জে, চৌধুরীর নির্দ্দিষ্ট স্থানে ছিল। তাঁহারা সমস্ত প্রতিনিধিদিগকে