পাতা:১৯০৫ সালে বাংলা.pdf/১০৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

[ ৯২ ]

 লইয়া অগ্রসর হইতে লাগিলেন। পথে একজন যুবক সভাপতির মুদ্রিত বক্তৃতা লইয়া মণ্ডপের দিকে যাইতেছিলেন। ছোটহুজুর মনে করিলেন ঐ বুঝি রাজদ্রোহসূচক পুস্তিকা লইয়া যাইতেছে। তাই সে কয়েকখানি কাগজ কাড়িয়া লইয়া তিনি প্রস্থান করিলেন।

কার্য্যারম্ভ।

 সভাপতি মিঃ আবদর রসুল সপত্নীক সভাস্থলে উপস্থিত হইলে অধিবেশন আরম্ভ হইল। এত উত্তেজনা, সুরেন্দ্রনাথের অনুরোধ পুলিশের অত্যাচার প্রভৃতি কিছুতেই সদস্যবর্গের হৃদয় টলিল না। তাঁহারা কার্য্যারম্ভ করিলেন। বাবু অশ্বিনীকুমার দত্ত সুরেন্দ্র বাবুর সঙ্গে ম্যাজিষ্ট্রেটের বাড়ীতে গিয়াছিলেন। সুতরাং সহকারী সম্পাদক বাবু নিবারণচন্দ্র দাস তাঁহার পরিবর্ত্তে আবাহন বক্তৃতা পাঠ করিলেন¡ “বন্দেমাতরম্” ধ্বনি দিঙ্মমণ্ডল নিনাদিত করিতে লাগিল।

ম্যাজিষ্ট্রেটের গৃহে।

 পূর্ব্বেই বলিয়াছি, সুরেন্দ্র বাবুর সঙ্গে লাকুটিয়ার উচ্চমনা জমিদার বাবু বিহারিলাল রায়, সুপ্রসিদ্ধ বাবু অশ্বিনীকুমার দত্ত ও শ্রীযুক্ত কালীপ্রসন্ন কাব্যবিশারদ গমন করিয়াছিলেন। ম্যাজি ষ্ট্রেট সাহেব চাপরাসী দিয়া কাব্যবিশারদকে ডাকাইলেন। তাঁহার সেই অনাবৃত দেহ, শুভ্র উপবীত ও কৌষিক ধুতি চাদর অবশ্যই