[ ৯৩ ]
অসভ্যতা-ব্যঞ্জক বিবেচিত হইল। প্রভু ইমার্সন কেস্প সাহেবকে বলিলেন, “এইরূপ লোকদিগকে মাথায় ‘হ্যাট’ না দিয়া আমার সম্মুখে আনয়ন পুরঃসর আমার অবজ্ঞা করিবার কি প্রয়োজন ছিল, বুঝিতে পারি না।” বিশারদকে বলিলেন “Get out”। এরূপ সম্ভাষণ পাইয়া সহাস্য হাস্যে, লগুড় গ্রহণ পূর্ব্বক কাব্যবিশারদ মহাশয় গাড়ীতে আসিয়া বসিলেন ও কৌতূক দেখিতে লাগিলেন। তৎপরে বাবু অশ্বিনীকুমার দত্তের অভ্যর্থনা হইল। তাঁহার ধুতি চাদর জামা পরা ছিল, কিন্তু মাথায় হ্যাট বা সাহেবী টুপী ছিল না, সুতরাং তাঁহারও বহির্দ্দেশে গমনের অনুমতি হইল। শেষে বিহারী বাবুকেও আরক্ত নেত্রে বাহিরে যাইতে বলা হইল, কিন্তু তৎক্ষণাৎ আবার ডাকা হইল।
সুরেন্দ্রনাথের প্রথম বিচার।
বাবু সুরেন্দ্রনাখ চেয়ারে বসিতে যাইতেছিলেন। ইমার্সন সাহেব তাহাতে আপত্তি করিয়া বলিল, “আপনি আসামী বসিতে পারেন না।” সুরেন্দ্রবাবু বলিলেন, “আমাকে কি অপমানিত করিবার জন্য এই স্থলে আনয়ন করা হইয়াছে?” হুজুর কোন উত্তর দিলেন না। আপন মনে কি লিখিতে লাগিলেন। পরে বলিলেন আপনাকে দশ হাজার টাকার মুচলেখা দিতে হইবে ও প্রত্যেকে পাঁচ হাজার করিয়া দশ হাজার টাকার দুইজন জামিন দিতে হইবে। অতঃপর এ বিষয়ে আর কোন উচ্চবাচ্য হইল না। কোথায় বা জামিন, কোথায় বা মুচলেখা,