বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:১৯০৫ সালে বাংলা.pdf/১১৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।



সমিতির অন্যান্য কার্য্যবিবরণ।

সভাপতি-নির্ব্বাচন।

 বাবু ভূপেন্দ্রনাথ বসু সভাপতি নির্ব্বাচনের প্রস্তাব উপস্থিত করিয়া যে তেজোগর্ভ বক্তৃতা করেন, তাহা শ্রবণ করিয়া সকলেই বিষম উত্তেজিত হইয়াছিলেন। তিনি বলেন, একদিন সকলেই এদেশে ইংরাজরাজত্ব দীর্ঘকাল স্থায়ী হইবে বলিয়া মনে করিত। কিন্তু অদ্যকার ব্যাপার দেখিয়া অন্যরূপ মনে হইতেছে। নিরীহ, শান্তিপ্রিয় ভদ্রজনসমাজের প্রতি এরূপ ঘোর অবৈধ অত্যাচার কখনই রাজ্যের পক্ষে কল্যাণকর নহে। তাঁহার অগ্নি-গর্ভ বক্তৃতার শেষ হইলে ছয় সহস্র কণ্ঠে ভীষণ রবে “বন্দেমাতরম্” ধ্বনি হইল। বাবু মতিলাল ঘোষ এই প্রস্তাব অনুমোদন ও বাবু সুরেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায় প্রভৃতি সমর্থন করিলে সর্ব্বসম্মতিক্রমে উহা পরিগৃহীত হয়। তখন মিঃ রসুল সভাপতির আসনে গিয়া উপবেশন করিলেন। সভাপতি মহাশয়ের অসুস্থতা নিবন্ধন তাঁহার বক্তৃতার একাংশ শ্রীযুক্ত হালিম গজনভি মহোদয় পাঠ করিয়াছিলেন।


প্রথম প্রস্তাব।

 সভাপতির বক্তৃতার পর বাবু মতিলাল ঘোষ প্রথম প্রস্তাব উপস্থিত করিলেন। সে প্রস্তাবের মর্ম্ম এই:–যে হেতু আজ