বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:১৯০৫ সালে বাংলা.pdf/১১৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

[ ১০০ ]

দিবালোকে, সমস্ত সহরের লোকের সম্মুখে ডিষ্ট্রীক্ট ও আসিষ্টাণ্ট সুপারিণ্ডেণ্টের আদেশে পুলিশ সভাপতি মিঃ রসুলের অভ্যর্থনার জন্য সমবেত প্রতিনিধিদের উপর অবৈধভাবে লাঠি চালাইয়াছে এবং দেশবাসীর নেতা বাবু সুরেন্দ্রনাথকে বিনা কারণে এরূপভাবে কয়েদ করিয়াছে, তাহাতে প্রতিপন্ন হয় যে, বরিশালে আইনসঙ্গত শাসনপ্রণালী বিলুপ্ত হইয়াছে।

 যেহেতু পূর্ব্ববাঙ্গালা ও আসামের নানা স্থানের লোক স্বদেশসেবা করার অপরাধে প্রহৃত ও নানারূপে নিগৃহীত হইয়াছে, তজ্জন্য এই সমিতি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করেন যে, এই প্রদেশে আর বৈধ শাসনপ্রণালী প্রচলিত নাই; সুতরাং নিজের শক্তির যে সকল কার্য্য নির্ভর করে, বর্ত্তমান বর্ষের সমিতি কেবল সেই সকল প্রস্তাবের আলোচনা করিবেন। বর্ত্তমান দায়িত্বশূন্য গবর্ণমেণ্টের উপর যে সকল কার্য্যের মীমাংসার ভার আছে, বর্ত্তমান বর্ষের সমিতি তাহার আলোচনা হইতে ক্ষান্ত থাকিবেন। এই প্রস্তাব সর্ব্বসম্মতিক্রমে পরিগৃহীত হইলে সেদিনকার মত সভা ভঙ্গ হয়।

দ্বিতীয় দিবস।

 অদ্য সহরে গুজবে অন্ত নাই। কেহ বলিল, আজ প্রতিনিধিগণ রাস্তায় শ্রেণীবদ্ধ হইয়া বাহির হইলেই পুলিশ গুলি চালাইবে। কেহ বলিল, রাস্তায় যে বন্দে মাতরম্ বলিবে, তাহাকেই পুলিশ গুলি করিবে বলিতেছে। এমন কি গুজব