বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:১৯০৫ সালে বাংলা.pdf/১৩২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

[ ১১৬ ]

যে মানসিক বল বৃদ্ধি পাইয়াছে, তাহা প্রতীত হইতেছিল। স্যার ব্যামফিল্ড ফুলারের কার্য্য দেখিয়া মূসলমানগণের হৃদয়ে কিরূপ ঘৃণার সঞ্চার হইয়াছে, মৌলভী মজম্মদ রহমান ও মৌলভী লিয়াকৎ হোসেন মুসলমান সম্প্রদায়ের পক্ষ হইতে তাহা ব্যক্ত করেন।

 অতঃপর গোলদীঘির উত্তরপূর্ব্ব কোণে এণ্টিসার্কুলার সোসাইটির আফিসের সম্মূখে একটি বিরাট সভা হয়। তথায় সমবেত ব্যক্তিবৃন্দের মধ্যে অনেকেই উৎফুল্ল অন্তঃকবণে প্রতিনিধিবর্গের সহিত আলিঙ্গন পাশে বদ্ধ হন। তাঁহারা প্রতিনিধিগণকে যেরূপ প্রীতিভরে বিদায় দিয়াছিলেন, এক্ষণে তদধিক প্রীতিপূর্ণ হৃদয়ে পরস্পর বিশ্রম্ভালাপ করিলেন। এ দৃশ্য অতি মনোরম, ও তৃপ্তিপ্রদ। সমবেত জনমণ্ডলী এই দৃশ্য দেখিয়া অশ্রুসংবরণ করিতে পারেন্ নাই। এই সময়ে শ্রীযুক্ত কৃষ্ণকুমার মিত্র মহাশয় একটি হৃদয়গ্রাহী বক্তৃতা করেন। সকলে একাগ্রচিত্ত হইয়া তাঁহার কথা শুনিতে লাগিলেন। তিনি বলেন যে, এণ্টিসার্কুলার সোসাইটির সভ্যগণ ধীরভাবে আপনাদের কর্ত্তব্য সম্পন্ন করিয়াছিলেন। সুবক্তা শ্রীযুক্ত মনোরঞ্জন গুহ ঠাকুরতার পুত্র শ্রীযুক্ত চিত্তরঞ্জন গুহ ঠাকুরতা পুলিশের হস্তে গুরুতররূপে প্রহৃত হইলেও “বন্দেমাতরম্” বলিতে বিরত হয় নাই। সোসাইটির সভ্যগণ নেতৃবর্গের ইঙ্গিতে পরিচালিত হইয়াছিলেন। পুলিশ তাঁহাদিগকে ক্রমাগত প্রহার করিতে থাকে, তথাপি তাঁহারা কেবল মাত্র “বন্দেমাতরম্” ব্যতীত আর কিছুই বলেন