আমরা অশক্ত, আমাদিগের উক্তি, আমাদিগের মত, রাজ্য পরিচালন কালে গণনার যোগ্য বিবেচিত হয় না। কিন্তু আমাদিগের সামাজিক ও গার্হস্থ্য ব্যাপারে আমরা এখনও সম্পূর্ণ শক্তিসমন্বিত। সেখানে আমরা অপর কাহাকেও হস্তক্ষেপ করিতে দিইনা। সে রাজ্য আমাদিগের, তথায় অনধিকারীদিগকে আমরা অনায়াসে অপসারিত করিয়া দিতে পারি, বলিতে পারি সরিয়া যাও এ আমাদিগের বিষয়, তোমাদিগের আলোচ্য নহে। রাজদেশের ব্যতিক্রম সংঘটন আমাদিগের অসাধ্য হইলেও বঙ্গের জন সাধারণের মনোরাজ্যে আমরা শাসনকর্ত্তা ও পরিচালক রূপে প্রতিভাত হইতে পারি। আমরা রাজদণ্ডের অন্যথা করিতে না পারিলেও তাহাতে যেন সমাজের মত পরিবর্ত্তিত না হয়, এরূপ ব্যবস্থা করিতে পারি। লোকের নিকট অবজ্ঞাত করা যদি দণ্ড প্রয়োগের উদ্দেশ্য হয়, যাহারা স্বদেশী আন্দোলনের সংস্পর্শে দণ্ডিত তাহারা অবজ্ঞাত হইবে না এই স্থির করিয়া আমরা সেই উদেশ্য ব্যর্থ করিতে পারি। যদি কষ্ট দিয়া কার্য্য রহিত করা দণ্ড প্রয়োগের উদ্দেশ্য হয়, আমরা মনে করিব প্রফুল্লচিত্তে যে কষ্ট সহ্য করা যায় তাহা কার্য্যের প্রতিরোধক নহে। দণ্ড সহিলে মনে অসন্তোষ জন্মে না, সমগ্র সমাজের প্রশংসা ও সমাদর লাভ হয় এবং বিবেকের বিচারে আত্মপ্রসাদ জন্মে, সেই দণ্ড অম্লান বদনে সহ্য করা যায়।
প্রশ্ন উঠিয়াছে, এরূপ সম্মানার্থ সভা করা ব্যবস্থাবিরোধী কি না, এবং ব্যবস্থাবিরোধী না হইলেও যুক্তিসিদ্ধ কিনা? এই
পাতা:১৯০৫ সালে বাংলা.pdf/৪৭
অবয়ব
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
[ ৩৭ ]