কিন্তু আমাদিগের বর্ত্তমান অবস্থায় এরূপ অনুষ্ঠান কি স্ববুদ্ধির পরিচায়ক ও যুক্তিসঙ্গত? আমি স্বীকার করি এবারকার সমস্যা অপেক্ষাকৃত জটিল ও কঠিন। কিন্তু জিজ্ঞাসা করি, এরূপ সম্মান সভার নীতিগত সুফল ও শিক্ষণবিধায়িনী শক্তি কি কোন অংশে উপেক্ষণীয়? জাতীয় জীবনের বিকাশে যদি রাজনীতিগত ও ধর্ম্মনীতিগত শিক্ষা শ্রেষ্ঠ বলিয়া স্বীকৃত হয়, তাহা হইলে আমি সাহস করিয়া বলিতে পারি যে, আদ্যকার সভার যথেষ্ট সার্থকতা আছে।
এরূপও বলা যাইতে পারে, যে ঈদৃশ সভায় রাজপুরুষদিগের আরও বিরক্তি বুদ্ধি হইবে। কিন্তু বোধ হয় এখন এরূপ তর্কের সময় আর নাই। আমরাত গত কয়েক বৎসর পদে পদেই রাজপুরুযদিগের নিকট অপরাধী হইতেছি। জাতীয় মহাসমিতির অনুষ্ঠান একটা ভয়ঙ্কর অপরাধ। ছোট ছোট প্রাদেশিক সমিতিগুলি বোধ হয় কিয়ৎ পরিমাণে লঘু অপরাধ। আমাদিগের রাজনীতিক আন্দোলনাদিও প্রভুদিগের চিরদিন বিরক্তির মূল। বঙ্গব্যবচ্ছেদ সম্বন্ধে আমাদিগের দেশব্যাপী প্রতিবাদ, আমাদিগের জঘন্য নিব্বন্ধাতিশয়ের নিদর্শন ও অনুষ্ঠিত বিভাগ স্বীকারে অবৈধ অপ্রবৃত্তি বলিয়া ঘৃণিত হয়। আমি জিজ্ঞাসা করি, আপনার কি জাতীয় মহাসমিতি বন্ধ করিবেন? প্রাদেশিক সমিতিগুলি পরিত্যাগ করিবেন, রাজনীতিচর্চ্চা পরিহার করিবেন? আপনারা কি বঙ্গব্যবচ্ছেদের আদেশ শিরোধার্য্য করিতে প্রস্তুত আছেন? এবং জানু অবনত করিয়া ভগবৎসমীপে রাজপুরুষদিগের মঙ্গল