[৪০]
কামনা করিয়া আপনারা কি বলিবেন, যে মোহান্ধবশে যাহার উপকারিতা আপনারা হৃদয়ঙ্গম করিতে পারিতেছেন না, আপনা- দিগের ইচ্ছার প্রতিকূলে সেই-মহোপকার সাধনের জন্য আপনার বাধিত হইয়াছেন? আমার বোধ হয় আপনার কেহই এরূপ করিতে স্বীকৃত নহেন। রাজপুরুষেরা কিসে তুষ্ট হইবেন, কিসে রুষ্ট হইবেন, তাহার মুখাপেক্ষী হইবার সময় চলিয়া গিয়াছে। আমরা শিকারী কুকুরের সঙ্গে শিকার করিব ও পলায়নপর শশকের সহিত লুকাইবার চেষ্টা করিব, এই উভয়দিকে চলিতে পারিব না। আমবা জগদীশ্বর ও ধনেশ্বর উভয়ের সেবা করিতে পারি না। আমার জীবনের অধিত্যকাদেশ হইতে অবরোহণ কালে এই পর্য্যস্ত বলিতে পারি যে নির্দিষ্ট পরিস্কৃত ও স্পষ্টভাবে আমি আমার সঙ্কল্প স্থির করিয়াঠি। আপনারা কি আপনাদিগের ইতিকর্ত্তব্যতা নির্ণয় করিয়াছেন? আমি জিজ্ঞাসা করি, আপনারা জগদীশ্বরের সেবা করিবেন, না ধনেশ্বরের সেবা করিবেন? আপনার জন্মভূমির সেবায় জীবন সমর্পণ করিবেন, না ব্যক্তিগত স্বার্থসিদ্ধির পন্থানুসরণ করিবেন? এই মহতী সভার কেন্দ্রস্থল হইতে প্রচার হউক যে এই স্থানে আমরা সমবেত হইয়া সত্যবদ্ধ হইতেছি স্বদেশী ব্যাপারের জন্য আমরা বাঁচিতে মরিতে প্রস্তুত রহিলাম। শাসিত ও শাসনকর্ত্তাদিগের মধ্যে বিচ্ছেদ-রেখা দিন দিন বিস্তারিত হইতেছে। ইহার জন্য দায়ী কে? জগদীশ্বর জানেন এই দায়িত্বের গুরুভার আমাদিগের শিরোপরি ন্যস্ত নছে, ইহার জন্য আমাদিগের শাসকবর্গই সম্পূর্ণ দায়ী। যাহার