পাতা:১৯০৫ সালে বাংলা.pdf/৫১

উইকিসংকলন থেকে
পরিভ্রমণে চলুন অনুসন্ধানে চলুন
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
[ ৪১ ]

প্রকৃত অবস্থা বুঝিতে পারেন না, মধ্যপ্রদেশের মহাবন হইতে সমাগত হইয়া যাঁহারা বাঙ্গালীর মনোভাব ও প্রকৃতি হৃদয়ঙ্গম করিতে সমর্থ নহেন, এই দেশব্যাপী শোচনীয় বিরোধ ও উত্তেজনার জন্য তাঁহারাই দায়ী। যেখানে মিলন ও সান্ত্বনায় কার্য্য হয় সেইখানে তাঁহার কঠোর দমন নীতির প্রয়োগ করিয়াছেন। তাঁহারা অগ্নিশিখা বলপ্রয়োগে নির্ব্বাপিত করিতে চেষ্টা করিয়াছেন, শিখা দ্বিগুণবেগে প্রজ্বলিত হইয়া উঠিয়াছে। কিন্তু আমাদিগের রাজপুরুষদিগের দোষ যাহাই হউক না কেন, তাঁহদিগের গুণবত্তার যতই লাঘব ঘটিয়া থাকুক, আমাদিগের কর্ত্তব্য পথ সরল ও স্পষ্টই রহিয়াছে। দেশের সেবায় অবিচলিত চিত্তে নিযুক্ত হওয়া ও বিধিসঙ্গত উপায়ে আন্দোলনে প্রবৃত্ত থাকা আমাদিগের কর্ত্তব্য কার্য্য।

 মহোদয়গণ! আপনারা লাঞ্ছনাভোগ করিয়া আমাদিগের সম্মুখে যে উচ্চ আদর্শ উপস্থাপিত করিয়াছেন সেই আদর্শে আমরা লাভবান্ হইব বলিয়া এস্থলে সমবেত হইয়াছি। আপনাদিগের উপর আমাদিগের আস্থা ও অনুরাগ আছে ইহা আপনাদিগের সম্মানার্থ নহে, আমাদিগের নিজেরই মঙ্গলার্থে লিপিবদ্ধ করিতেছি। আমরা সমস্ত জগৎসমক্ষে প্রকাশ করিতে চাহি যে আপনাদিগের উপর দণ্ডপ্রয়োগে আপনার অপদস্থ হন নাই, দেশের কল্যাণার্থ প্রফুল্লচিত্তে শাস্তি সহ্য করায় কাহারও গৌরব হানি হয় না বরং তাহাতে সাধারণের নিকট সম্মানবৃদ্ধি ও প্রশংসা লাভ হয়। এবং দেশের লোকের স্নেহ ও কৃতজ্ঞতা আকর্ষণ করে।