[ ৬২ ]
নামে প্রহারের অভিযোগ উপস্থিত করে। ক্যাটেল সাহেব ও অনন্তমোহনের নামে এবং কালীনাথ, নেপালচন্দ্র, সুধন্য, ভূইমালি, ভুবনমোহন গুহ এবং বসন্তকুমার গুহ নামক কতিপয় বালক ও যুবকের বিরুদ্ধে লোষ্ট্র ক্ষেপের অভিযোগ করেন। বিচারে ক্যাটেল সাহেব অবশ্যই নিষ্কৃতি পাইয়াছেন। অনন্তমোহন ছয় সপ্তাহের জন্য শ্রীঘরে প্রেরিত হন। আপীলে ফলোদয় হয় নাই। সম্মান নিদর্শন রজতপদক অনন্তমোহনের নিকট প্রেরিত হইল।
মাদারিপুরের আদর্শ শিক্ষক বাবু কালীপ্রসন্ন দাস অনন্যসাধারণ সৎসাহস ও সুদৃষ্টান্তে ঐ স্থানে স্বদেশী আন্দোলন অক্ষুণ্ণ রাখিয়াছিলেন তাহারই ফলে তিনি কর্ম্মচ্যুত পর্য্যন্ত হন। তাঁহার প্রতি বঙ্গদেশের অধিবাসী প্রত্যেকেরই কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা উচিত। সেই কৃতজ্ঞতার নিদর্শন স্বরূপ রজত নির্ম্মিত “বন্দেমাতরম্” ব্রুচ বা বন্ধনী তাঁহার নিকট প্রেরিত হইল।
মাদারিপুরের ছাত্রগণের মোকদ্দমার পরিণাম ও বিবরণ সংবাদপত্রে এইরূপে বিবৃত হইয়াছে:–অনন্ত মোহন দাস গত অক্টোবর মাসে মিঃ ক্যাটেল সাহেব কর্ত্তৃক প্রহৃত হয়; তাহাতে তাহার নাসিকায় বিলক্ষণ আঘাত লাগে। সেই জন্য সে মিঃ ক্যাটেলের বিরুদ্ধে এক অভিযোগ আনয়ন করে। ডিষ্ট্রীক্ট ম্যাজিষ্ট্রেট সেই মোকদ্দমা ডিস্মিস্ করেন এবং আসামী ক্যাটেল সাহেবকে অব্যাহতি দেন। গত নবেম্বর মাসে মিঃ ক্যাটেল উক্ত আনন্দমোহন ও অপর কয়েকজন ছাত্রের বিরুদ্ধে এক অভিযোগ উপস্থিত করেন। পুলিশ ৭, ৮, ১০, ১৬ ও ১৭ বৎসর