বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:১৯০৫ সালে বাংলা.pdf/৭৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

[ ৬৩ ]

বয়স্ক কতিপয় ছাত্রকে চালান দেয়। মাদারিপুরের জয়েণ্ট ম্যাজিষ্ট্রেট অনন্তমোহন ব্যতীত আর সকলকেই অব্যাহতি দেন—অনন্তমোহনের প্রতি ছয় সপ্তাহ সশ্রম কারাবাসের আদেশ দেওয়া হয়। অনন্ত ফরিদপুরের সেসন জজের নিকট আপীল করে। জজ সাহেব আপীল ডিস্মিস্ করিয়াছেন।” অনন্তের নামে আবার একটী মামলা রুজু হইয়াছিল।

ফরিদপুর—রাজবাড়ী।

 মোহর মোল্লা রাজবাড়ীর বাজারের ইজারাদার। রাজবাড়ী গ্রাম বেণী বাবুদিগের জমিদারীর অন্তর্গত। লক্ষ্মীকোলের রাজা সূর্য্যকুমার গুহের সহিত বহুকাল হইতে তাঁহাদিগের বিবাদ চলিতেছিল। সূর্য্যকুমার বাবুর পক্ষীয় দুইজন মুসলমান একদিন হাটের সময় বিলাত লবণ বিক্রয় করিতে যায়। বাজারের যে অংশ লবণ বিক্রয়ের জন্য নির্দ্দিষ্ট আছে, তাহারা সে স্থানে না বসিয়া অন্য স্থানে বসে। অন্যান্য সকলে তাহাতে আপত্তি করে। সেইজন্য উক্ত ইজারদার তাহাদিগকে নির্দ্দিষ্ট স্থানে যাইতে বাধ্য করিবার জন্য তাহাদিগকে তুলাদণ্ড ও বাটখারাগুলি যথাস্থানে লইয়া যায় এবং তাহাদিগের স্থান নির্দ্দেশ করিয়া দেয়। কিন্তু মুসলমান দুইটি সেই স্থানে না যাইয়া সবডিভিসনাল অফিসার মহাশয়ের নিকট গমন করে এবং মোহর মোল্লার বিরুদ্ধে অভিযোগ উপস্থিত করে। সবডিভিসনাল অফিসার বাবু প্রসন্নকুমার দাস স্বয়ং এই ঘটনার তদন্ত করে এবং স্বয়ং