পাতা:১৯০৫ সালে বাংলা.pdf/৭৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

[ ৬৫ ]

ও আদ্যনাথ মিত্র বিলাতী কাপড় বিক্রয়ে বাধা দেওয়ার জন্য নিগৃহীত হন। দুর্গাদাস বাবুর বিরুদ্ধে ২৫৫ ধারা এবং অপর দুই জনের বিরুদ্ধে ১৭৬ ধারা অনুসারে অভিযোগ হয়। থানায় অবস্থান কালে পুলিস সুপারিণ্টেণ্ডেণ্ট কুইণ্টনবারণ দুর্গাদাস বাবুকে প্রহার পর্য্যন্ত করিয়াছিলেন এরূপ কথাও উক্ত হইয়াছিল। বিচারে দুর্গাদাস ও আদ্যনাথ বাবু উভয়ের প্রতিই দুই সপ্তাহ করিয়া কঠোর কারাবাসের আদেশ হয়। চণ্ডীদাস অর্থ দণ্ডেই অব্যাহতি প্রাপ্ত হন। চণ্ডীদাস বাবুকে রৌপ্যদোলক এবং দুর্গাদাস ও আদ্যনাথ বাবুকে রজতপদক প্রদান করিয়া অনুরাগ প্রকাশ করা হইয়াছিল। হাইকোর্টের শেষ আপীলে .৮ই এপ্রেল স্থির হইয়াছিল দুর্গাদাস বাবুর দোষ দণ্ডবিধি অনুসারে অপরাধ বলিয়া গণ্য হইতে পারে না।

ভট্টপল্লী।

 শ্রীযূক্ত ভূতনাথ ভট্টাচার্য্য কলিকাতায় বাসা করিয়া থাকিতেন ও হাওড়ায় চাকরী করিতেন। জাহাজে গঙ্গাপার হইবার সময়ে তাঁহাকে পরিচ্ছদের জন্য উপযুক্ত স্থানে উঠিতে দেওয়া নাই। এই সময়ে ভূতনাথ বাবু “বন্দেমাতরম্” বলায় অনেকে তাঁহার সহায় হয় এবং অবজ্ঞাকারীরা রীতিমত প্রহৃত হয়। কলিকাতার প্রধান প্রেসিডেন্সি মাজিষ্ট্রেটের বিচারে ভূতনাথের প্রতি বার দিন কঠোর কারাবাসের আদেশ হইয়াছিল। হাইকোর্টে