[ ৬৬ ]
আপীলে ফল হয় নাই বরং একজন জজ এ দণ্ড লঘু হইয়াছে বলিয়া মত প্রকাশ করেন।
পুত্রের কারাদণ্ডের কথা শুনিয়া ভূতনাথের জননী কাঁদিতে কাঁদিতে মণিরামপুরে সুরেন্দ্র বাবুর নিকট গমন করেন। সুরেন্দ্র বাবু তাঁহাকে এই বলিয়া আশ্বাস দিলেন আমি দুই মাসের জন্য জেলে গিয়াছিলাম, আমার মা সে জন্য কাঁদেন নাই। আপনার পুত্র চুরি ডাকাতি, জালিয়তি করিয়া জেলে যায় নাই, ভাল কার্য্যের নিমিত্তই গিয়াছে, কয়টা দিন বাদে হাসিতে হাসিতে ফিরিয়া আসিবে। ইহা শুনিয়া শোকাকুলা জননী অশ্রু সংবরণ করিলেন। ভূতনাথ বাবুকে রৌপ্য পদক দানে সম্মানিত করা হইল।
গৌরীবেড়।
শ্রীমান্ জানকী নাথ দত্ত, কলিকাতার উত্তর পূর্ব্বে পরেশনাথ মন্দিরের সমীপবাসী বাবু বসন্তকুমার দত্তের পুত্র। নভেম্বর মাসে “বন্দেমাতরম্” বলিয়া চীৎকার করা অপরাধে এই বালককে বেত্রাঘাত করা হয়। কলিকাতার প্রধান প্রেসিডেন্সী ম্যাজিষ্ট্রেট এই অদ্ভুত দণ্ডাজ্ঞায় যে সহৃদয়তা প্রকাশ করিয়াছেন তদ্দর্শনে সকলেই বিস্মিত হইয়াছিল। বেত মারা তদ্দণ্ডেই হইয়া গেল, তখন আর আপীলে কি হইবে? জানকী নাথকে সম্মান নিদর্শন রৌপ্যপদক দেওয়া হয়।
পৌষ মাসে শ্রীমান্ সুরথ কুমার বসু, শ্রীমান্ নরেন্দ্রনাথ